নিজস্চিস্ব সংবাদদাতা : ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাায় পাকিস্তানে মারা গেলেন ৬৮ জন। এদিন করাচি থেকে লাহোর যাওয়ার পথে লিয়াকতপুরের রহিম ইয়ার খানের কাছে করাচি-রাওয়ালপিণ্ডি তেজগাম এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর সরকারি সূত্রের খবর। দুর্ঘটনার আগে ওই ট্রেোনে উপস্থিত এক যাত্রী জানিয়েছেন, ট্রেনটি তেজগাম থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে যাচ্ছিল। তখন তিনি একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। পরে জানতে পারেন এক যাত্রীর গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। যার থেকেই পাশে থাকা আরও দুটি স্টোভে আগুন লাগে। সেই স্টোভের তেল ছড়িয়ে পড়ে, যার দেরে ভয়াবহ রূপ নেয় আগুন।
পাকিস্তান রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে কোচে বিস্ফোরণটি ঘটেছে, সেটি তাবলীগ জামাতের এক সদস্য বুকিং করে ছিলেন। সকালের খাবার তৈরির সময়ে তিনি গ্যাস স্টোভে ডিম সিদ্ধ করতে গেলে, তখনই বিকট বিস্ফোরণে চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে কামরা থেকে ট্রেনের বাইরে লাফিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় থাকায় মুহুর্তের মধ্যে পাশের আরও একটি কামরায় আগুন ছড়িয়ে যায়। পরে পাশের আরও একটি কামরা সহ মোট তিনটি কামরা চলে যায় আগুনের গ্রাসে।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা সর্দার মুহাম্মদ আমির তৈমুর খান প্রথমে নিহতের সংখ্যা ৪৬ উল্লেখ করলে, পরে ৬৮ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান। পাকিস্তানের রেলওয়েমন্ত্রী শেখ রশিদও এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার পরই দ্রুত উদ্ধার কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশেষ উদ্ধারকারী দল। অগ্নিদগ্ধদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় লিয়াকতপুরের ডিএইচকিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও মুলতান থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।