টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধর , এবং সেই ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক রঙ লেগে উত্তেজনা ছড়াল মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার বাড়িয়াল এলাকায়। জানা গেছে ঘটনার সূত্রপাত মহম্মদ বেলাল নামে এক ব্যক্তি পাওনা টাকা চাইতে গেলে কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর এই ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে।আক্রান্ত ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকাৎসাধীন।
এই ঘটনায় রাসেদ আলী, বাসেদ আলী, সামজেদ আলী, সাগর আলী, শাহনওয়াজ আলী নামে পাঁচ ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর উক্ত ব্যক্তিদের থেকে ১৫ হাজার টাকা পেত মহম্মদ বেলাল এবং সেই টাকা চাইতে গিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। এরপর স্থানীয়রা মিলে বকেয়া টাকা পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই মারধরের ছক কষছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে টাকা নিয়ে ফেরার পথে রারিয়াল প্রাইমারি স্কুলের সামনে বেলালের উপর চড়াও হয়। ডাঙ, লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। তার স্ত্রী বাধা দিতে এলে তার উপরও আঘাত হানা হয়। এবং শুধু তাই নয় মালিকের ১ লক্ষ৮০ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর গলার দেড় ভরি সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর দুজনকে হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিলেও বেলালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর হামলাকারীরা কংগ্রেসের কর্মী। বকেয়া টাকা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত হলেও তাতেও রাজনৈতিক রং লেগেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর রাজনৈতিক মহল এখন যথেষ্টই উত্তপ্ত। কংগ্রেস এই দায় অস্বীকার করলেও শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস রাজনৈতিক তরজা।