নয়াদিল্লি: উম-পুনের ক্ষতিপূরণ এখনও পাওয়া যায়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনার সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হল পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, ১১৬ জেলার নাম। দেশের ছ’টি রাজ্যজুড়ে এই জেলাগুলিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকার পুনর্বাসন দেওয়া হবে। ছয় রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ স্থান পায়নি। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ডের ১১৬টি জেলায় আগামী ১২৫ দিন ধরে এই আর্থিক প্যাকেজের প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের শর্ত হল, যে জেলাগুলিতে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের দল ফিরে এসেছে, সেরকম ২৫ হাজার শ্রমিককে তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে আগামী ১২৫ দিনের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই শ্রমিকরা বিগত আড়াই মাসে লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছে ভিনরাজ্যের কর্মস্থল থেকে। তাদের জীবিকার বিকল্প সন্ধান দিতেই এই প্রকল্প। আগামীকাল থেকে শুরু হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের একটিও জেলা এই তালিকায় স্থান পেল না কেন? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা কোনও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি। বলেছেন, এই ছ’টি রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। আর একটি জেলায় ২৫ হাজার শ্রমিক ফিরে আসার যে শর্ত আমরা রেখেছি, সেই শর্ত পশ্চিমবঙ্গের তালিকায় পূরণ হয়নি। তবে নতুন কোনও জেলা চাইলে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতেই পারে। কোনও বাধা নেই। এই প্রকল্প সকলের জন্য।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের এই প্রকল্পে বিহারের ৩২, উত্তরপ্রদেশের ৩১, মধ্যপ্রদেশের ২৪, রাজস্থানের ২২, ওড়িশার ৪ এবং ঝাড়খণ্ডের ৪টি জেলাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যে কাজগুলিকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে সেগুলি হল, জাতীয় সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, কুয়ো খনন, বনসৃজন, রেলওয়ে প্রকল্প, কমিউনিটি শৌচালয় নির্মাণ, হর্টিকালচার, কৃষি- পুষ্করিনী, গবাদি পশুর আবাস নির্মাণ ইত্যাদি। শুক্রবার বিহারের খাগাড়িয়া জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।