নেতাজির ট্যাবলো খারিজে দ্বন্ধ রাজ্য কেন্দ্রের মাঝে

শুরু হয়েছে রাজ কেন্দ্র দ্বন্দ্ব। কেন্দ্রীয় সরকারের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মনোনীত হয়নি পশ্চিমবঙ্গের ‘নেতাজি’ ট্যাবলো। তবে শুধু বাংলা নয়, তামিলনাড়ুর ট্যাবলোও বিবেচিত হয়নি। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু তাঁদের দুজনের আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আজই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্যাবলো বাতিলের কারণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। উল্লেখ্য, এদিনই এই ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, ট্যাবলো বাছাই করা হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে। তাই বাংলার ‘নেতাজি’ ট্যাবলো বাদ পড়া একেবারে ‘কাকতালীয়’ ব্যাপার। এই বিষয় নিয়ে সস্তার রাজনীতি হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন নির্মলা। তারপরেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে চিঠি লিখে এই ট্যাবলো বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এছাড়া স্পষ্ট করেছেন যে, বাংলা ও তামিলনাড়ুর অনুরোধ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে না। আগেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করে আক্রমণ করেছিল বাংলার শাসক দল। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের মানুষ বলেই কি এই সিদ্ধান্ত?

যদিও আজ এই ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তা নিয়েও ধন্ত তৈরি হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় একদমই স্পষ্ট নয় যে ঠিক কোন নিয়ম বা বাছাই প্রক্রিয়া মেনে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু এই ইস্যুতে জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সরকার বা প্রধানমন্ত্রী পদ নেয় না। পাশাপাশি, কুচকাওয়াজের সময় সীমিত থাকায় সব রাজ্যের ট্যাবলোকে মনোনীত করা যায়নি।