নুন ( শেষ পর্ব )

যে কমোডিটির এত বড় শক্তি সেই কমোডিটি যদি রান্নাঘরে এসে আমাদের খাবারের পাতে ঢুকে পড়ে তাহলে আমাদের শরীরে কি বিপ্লব হতে পারে ভেবে দেখেছেন?

আমাদের শরীরে লবণ এক অত্যন্ত মূল্যবান ভারসাম্যে থাকে। বেশি হলে প্রাণ যাবে আর কম হলেও তাই।  দুটোতেই হার্ট বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ লবণের ওঠা নামায় স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে ব্রেনেরও।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আমার সিনিয়র ছিল মহুয়াদি।  আমরা বলি মা-জননী। এত মায়ার মন তাঁর।

গাইনি ডিপার্টমেন্টে কেউ মিষ্টি দিয়ে গেলে ভিসিটিং প্রফেসর থেকে শুরু করে বাচ্চা ডাক্তার সবাই পেতো সেই মিষ্টি। সবাই সমান, হয়তো চার ভাগের এক ভাগ, কিন্তু পেত।  মহুয়াদির কল্যাণে।

প্রায় বছর কুড়ি আগে,  সেই মহুয়াদির মা লক্ষীপুজোয় উপোস করেছেন সারাদিন । রাতে প্রসাদ খেয়েই বমি শুরু হলো। ‘সামান্য’ ব্যাপার।

সবাই বললো চলো কাছের হাসপাতালে একটু স্যালাইন দিয়ে চাঙ্গা করে নিয়ে আসা যাক। গেলেন ত’ বটে কিন্তু ফিরলেন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে ।

মাসিমা আর কোনোদিন স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারেননি।  সারাজীবন চেয়ারে বসে কাটিয়েছেন- হাঁটার শক্তি ছিল না।

বমিতে অনেক লবণ বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। সোডিয়াম, পটাশিয়াম কমে যায়।

যাইহোক, দরকার সেই ভারসাম্য ঠিক করা।  কিন্তু ঐটুকু লবণ ঠিক করা তো ১ মিনিটের ব্যাপার তাই না ? হাতের কাছেই আছে বেশি লবণের স্যালাইন। আজকে দিলেই কালকেই পেশেন্ট হেঁটে হেঁটে বাড়ি যাবে।

ভুল ভুল ভুল।

ওই সামান্য লবণের ভারসাম্য ঠিক করা দরকার অন্তত-পক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন ধরে। খুউব ধীরে।

তাড়াহুড়ো করলেই আমাদের ঘাড়ের পেছনের ব্রেইনের একটা জায়গায় প্রোটিন গলে যায়। নাম পন্টাইন মায়েলিনোলাইসিস।

শর্টসার্কিট হয়ে প্যারালাইসড হয়ে যায় মানুষ।

যার কারণ, লবণের ‘ফাস্ট ওভার-কারেকশন’ । ঠিক যেমনটা হয় মাসিমার। মহুয়াদি কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য তাড়া দেয়নি।

১৯৬০ এর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞান এই  অদ্ভুত অসুখের কথা জানত না।

নাহ, মহুয়াদি – অভিজিৎদা হাসপাতাল ভাঙেনি। মামলা-মোকদ্দমাও করেনি। সারাজীবন সেই মায়ের দেখভাল করে গেছে।

কিন্তু আপনারাও যাঁরা জানলেন তাঁরা শিখে নিন।  যাঁরা ব্লাড প্রেসারের জন্য ডাইউরেটিক ধরণের ট্যাবলেট খান তাদের শরীরে এমনিতেই লবণের মাত্রা কমের দিকে থাকে।

ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স বা লবণ কমের গন্ডগোলে কৌতূহলী হয়ে জেনে নিন আপনার আত্মীয়ের স্লো কারেকশন হচ্ছে কিনা।

দেখবেন, ডাক্তারবাবু খুশি হয়ে বলছেন,  অবশ্যই স্লো কারেকশন হচ্ছে।

হয়ত কটা দিন বাড়তি বেড ভাড়া গুনতে হবে। কিন্তু যা পাবেন, তার মূল্য হয় না।

কলকাতা একসময় ‘তরুণ’  ডাঃ সুব্রত মৈত্রকে পেয়েছিল। আজকে উনি আর নেই।

ডাক্তারিতে যে বয়েসে গাল টিপলে দুধ পরে আমার সেরকম বয়েসে পেয়েছিলাম ওঁনাকে। দেখতাম লবণের এদিক ওদিক হলেই উনি কেমন বিচলিত হতেন।
স্যালাইনের মাধ্যমে লবণের মাত্রা ঠিক করতে হলেই,  উনি খালি বলতেন স্লো, স্লো ডাউন।

লবণের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড।  সোডিয়াম আর ক্লোরিন একসাথে মিলে এই যৌগ বানায়। হাজারো রকমের লবণ রয়েছে পৃথিবীতে।

এক জাপানেই প্রায় ৪০,০০ ধরণের নুন পাওয়া যায়।

সবেতেই এই সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে হয়তো অন্য কোন খনিজ পদার্থ বা কেমিক্যাল মিশে থাকে যার রকমভেদে স্বাদেরও প্রকারভেদ হয়।

রান্নায় যথেষ্ট লবণ না থাকলে মুখে রোচেনা কিন্তু যথেষ্ট লবণ যদি থাকে তাহলে সেটা মুখে রুচলেও শরীর মেনে নেয় কি?

একদমই না। লবণের পরিমাণ বেশি হলে কিডনি আর্তনাদ করতে থাকে হার্টও  ঘেমে ওঠে।

কিডনি দিয়ে এই  অতিরিক্ত সোডিয়াম বেরোবার সময়, সাথে বগলদাবা করে নিয়ে যায়  ক্যালসিয়ামকে ।

সোডিয়াম নিয়ে অত সমস্যা নেই, কারণ সে তো জলে গুলে যায়  খুব ভালো করে ।  তাই  ইউরিন দিয়ে মসৃণ ভাবে বেরিয়ে যেতে অসুবিধা হয় না ।

কিন্তু ক্যালসিয়াম? সে ততটা জলে গোলে না। থিতিয়ে পরে।

থেতান ক্যালসিয়াম অনেক সময় কিডনির রাস্তায় পাথরও তৈরি করে। ক্যালসিয়ামের ক্রিস্টালের গায়ে থাকে ছোট ছোট ছুঁচ। সজারুর মত। এই সুচওয়ালা নুড়ি পাথর যখন পেচ্ছাপের রাস্তা দিয়ে যায় তখন ক্ষতবিক্ষত হয় পেচ্ছাপের রাস্তা।

কি তীব্র সেই ব্যাথা!
বলা হয় লেবার পেইন থেকেও বেশি ব্যাথা কিডনি স্টোনের।

২০১২ তে হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত খাবারের লবণের পরিমাণ বেশি থাকে সেই মহিলা-পুরুষদের ৫০% পর্যন্ত কিডনীষ্টোনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালে লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির এক যুগান্তকারী গবেষণায় দেখা গেল, খাবারে ক্যালরির পরিমাণ এক থাকলেও যাঁরা বেশি লবণ খাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে স্থুলতা  হচ্ছে আরও মাত্রাতিরিক্ত।

আর আপনার তো সবাই জানেন, খাবারে লবণের সাথে  ব্লাড প্রেশারের একটা শত্রুতার  সম্পর্ক রয়েছে। খাবারে লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ ক্ষণিকের জন্য বাড়ে সেটা সব পুরুষ-মহিলার ক্ষেত্রেই সত্যি।

কিন্তু যাদের ব্লাড প্রেসার হওয়ার প্রবণতা থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই বাড়তি ব্লাডপ্রেসার স্থায়ী হয় অনেকক্ষণ ধরে।
আস্তে আস্তে হাই প্রেশার পুরোপুরি স্থায়ী হয়ে যায়।
তখন ব্লাড প্রেসার কমাতে হলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

দুঃখের কথা, লবণের ক্ষতিকর দিকের ফিরিস্তি  তাড়াতাড়ি চাইলেও শেষ করতে পারছি না।

ঘুমের পরিমাণ এবং তার কোয়ালিটির উপরেও খবরদারি করে খাবারের লবণ। রাত্রিবেলা বারবার ঘুম ভেঙে বাথরুম যেতে হলে খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজর রাখা দরকার।

ডায়াবেটিসে বারবার বাথরুম তো হয় কিন্ত অনেকসময় দেখা যায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও টয়লেটে যাবার ফ্রিকোয়েন্সি বেশি। সে ক্ষেত্রে নজর দিন লবণের পরিমাণ এর উপরে।

২০১৭ সালের ইউরোপিয়ান গবেষণায় জানতে পারি ষাটের ওপরের বয়েসের মানুষের খাবারে যদি লবণের পরিমাণ এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তাঁদের রাত্রে ঘুম হয় আরো বেশি গভীর।

এতেও শেষ নয়, লবণ, রক্তের গতির তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরের নমনীয় রক্তবাহের দেয়ালে রক্তের তীক্ষ্ণ জেট তৈরী করে ক্ষত। অমসৃণ রক্তবাহে জমে যায় ফ্যাট। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং করোনারি ডিজিজ এবং ক্যান্সার ।

বাড়ির হেঁসেলে তো বটেই, রেস্টুরেন্টে গিয়েও খেতে যাওয়ার সময় ওঁনাদের বলুন যাতে খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ না দেওয়া হয়।  অবশ্য ওঁনারা লবণের পরিমাণ কমাতে নিমরাজি হতে পারেন।  কারণ লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিলে খাবারের স্বাদে অসন্তুষ্ট হবেন এই আপনি-ই।

দিনে তাহলে কতখানি লবণ চলতে পারে ?

লবণ যে শরীরে কি সূক্ষ্ম সুতোর ভারসাম্যের ওপর হাঁটে সে আর কি বলবো!

মোটামুটি এক চা চামচ। মানে ? ৬ গ্রাম লবণ, যাতে ২.৪ গ্রাম সোডিয়াম থাকে। টোটাল লবণ। টোওও—টাল – মানে যা শাকসবজিতে আছে আর যা আপনি দিচ্ছেন, সব মিলিয়ে।

ডাক্তারবাবু এবার চুপ করলে হয় না? এত সত্যি জানার কিই বা দরকার ? সুন্দর তো ইতিহাসের গল্প করছিলেন। আচমকা এসব অপ্রীতিকর আলোচনা কেন ?

কি করব বলুন জিয়নকাঠি পেলে তা আপনাদের সাথে ভাগ না করে থাকা যায় কি?

আপনাদের মতো আমিও ভীষণ বিভ্রান্ত! খেতে ত শুধু আপনার ভাল লাগে না, আপনার ডাক্তারবাবুরও ভাল লাগে। তাহলে খাবো কি ? জানবই বা কি করে কোথায় কত লবণ ?

বহু গবেষণা এবং আন্দোলনের ফলে আজকাল খাবারের প্যাকেট এর উপরে চিনির পরিমাণ লেখা থাকা বাধ্যতামূলক।  কিন্তু লবণের পরিমাণ লেখার উপরে এখনো কোনো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেনি বেশিরভাগ রাষ্ট্রই।

যদি ভেবে থাকেন জিভে কতটা নোনতা লাগছে তার ওপর ভিত্তি করে আপনি লবণের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন, সে গুড়ে বালি।

অনেক সময় দেখা যায় যে জিভের স্বাদের ওপরে খাবারের লবণের পরিমাণ নির্ভর করে না। কারণ বাকি স্বাদগুলো লবণাক্ততা এতটাই ঢেকে দেয় যে মাত্রাতিরিক্ত লবণ থাকলেও আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনি খেয়ে চলেছেন প্রাণঘাতী লবণ।

প্রসেসড ফুড বা ক্যানড ফুডে বেশি লবণ দেওয়া হয় যাতে চট করে খাবারে ফাঙ্গাস না লাগে। ক্যানড খাবার ভারতে এখনো পাওয়া যায় না তেমন।

কিন্তু এলো বলে। টেকআওয়ে খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি হতে পারে। কারণ আমি, আপনি ও আপনার দোকানদার দুজনেই চান জিভের তাৎক্ষণিক আনন্দ।

জনসমক্ষে আরেকটি গুজব প্রচারিত রয়েছে যে রান্নার সময় দেওয়া লবণে দোষ নেই।  পাতে নুন নিলে তবেই দোষ।

ভাবটা এমন যে উনুনে দিলে বুঝি লবণের দোষ যায় কেটে।

জনাব, শরীরে মন দিন গুজবে নয়।
লবণ  মানেই সোডিয়াম ক্লোরাইড।
সে আগে দিন, বা পরে।

যদি দেখেন প্রচুর এক্সারসাইজ করে, চিনি কম খেয়ে, সুষম খাবার খেয়েও আপনার ওজন কমছে না, তাহলে নজর দিন আপনার খাওয়া লবণের পরিমাণের ওপরে।

এমনও হতে পারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার জন্য আপনার শরীরে অসম্ভব পরিমানে জল রিটেনশন করছে।  আর তার জন্য আপনার ওজন কমতে অসুবিধা হচ্ছে।

নেমন্তন্ন বাড়িতে খাওয়ার পরের দিন মনে হয় কিনা  শরীর অপেক্ষাকৃত ফুলে রয়েছে (ব্লোটেড)! সেটার কারণ – অতিরিক্ত লবণ।
চাইনিজ খাবার পরে রাত্রিবেলা বা পরের দিন সকালে মাথাব্যথা হলে সেটার কারণও অনেকক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবণ।

লবণ কম খেতে হলে জিভকে শিক্ষিত করতে হবে।

যেদিন আপনি খাবারে লবণের পরিমাণ কমাবেন সেদিন থেকে ছয় সপ্তাহ আপনার জিভ আপনাকে বলবে যে একদম ভালো লাগছে না।
সব বিস্বাদ লাগছে।

কিন্তু ছয় সপ্তাহ সাধনা করতে পারলেই কেল্লা ফতে।

তখন আপনার জিভ মেনে নেবে যে তাকে স্বল্প লবণেই জীবন চালাতে হবে।

ইদানিং কিছু বিজ্ঞাপনে ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছে সোডিয়াম এর বদলে রক-সল্ট অথবা পটাশিয়াম লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

কিন্তু এই খবরের কোন সত্যতা নেই। এই লবনে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকবেই। পুরো পটাশিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে খাবার লবণ তৈরী করা যায় না।  কারণ তার স্বাদ এতটাই বিকৃত হবে যে আপনি লবণের মতো সেটা ব্যবহারই করতে পারবেন না।

আর পটাশিয়াম অত খেলে আপনার কিডনির যে কি অবস্থা হবে সেটা না বলাই ভালো। সুতরাং বেশি নগদ দিলেই যে আপনার মুক্তি তা একেবারেই নয়।

এটা ঠিক পটাশিয়াম সোডিয়াম এর থেকে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে শরীরে। কিন্তু পটাশিয়াম খাবার জন্য আপনার লবণ খাওয়ার দরকার আছে কি ?

পটাশিয়ামের আরো অনেক সোর্স রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কলা, দই, পালং শাক, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

লবণে বিভ্রাটের শেষ নেই।  কারো কারো হয়তো এখনো মনে থাকতে পারে যে কিছুকাল আগেও  বর্ষাকালে যে পাত্রে লবণ রাখা হতো সেই পাত্রে জল জমে যেত ?

ইদানিং কিন্তু লবণে জল জমাটা আমরা আর দেখতে পাই না।
কেন? লবণে আজকাল মেশানো হয় এন্টি-কেকিং বলে  এক ধরনের কেমিক্যাল।

সাবলীল গতিতে লবণ পড়বে আপনার চামচ থেকে কিন্তু তার সাথে মনে রাখবেন সেই কেমিক্যালগুলো মাত্রাতিরিক্ত হলে ক্ষতি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের।

যাঁদের বয়স ৫০ পেরিয়েছে, যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, যাঁদের হার্টের অসুখ রযছে বা যাঁরা ওভার ওয়েট অতিরিক্ত লবণের পরিমাণ তাঁদের আরো বেশি ক্ষতিকারক।

তবে দয়া করে এত কিছু পড়ে ঘাবড়ে যাবেন না।
এগুলো সচেতনতা বাড়ানোর জন্য লেখা।
যাতে সঠিক ভাবে জেনে, বুঝে আপনি সুস্থ ভাবে বাঁচার রাস্তা নিজেই তৈরী করে নিতে পারেন।

আধুনিক মেডিকেল সায়েন্সর উন্নতির ফলে মানুষের আয়ু অনেকটাই বেড়ে গেছে।

তাই আমাদের সকলেরই উদ্দেশ্য হোক, সুস্থ, নীরোগ জীবন।

ব্যালান্সড ডায়েটের মতো আপনার জীবনও যেন সঠিক মাত্রায় নুনের প্রভাবে ব্যালান্সড হয়ে ওঠে, এই শুভকামনাই রইলো ।