নিয়তির কি পরিহাস! লকডাউনে উপার্জনহীন মন্টু ভূঁইয়ার পরিবারকে অমানবিক ঘটনার শিকার হতে হল। মাত্র ২৫০০ টাকা ভাড়া দিতে না পারায় চারটি সন্তান সহ মন্টুর পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিলেন নির্মম ঘর মালিক মহিলা। মাত্র এক মাসের ভাড়া দিতে পারেনি দুর্ভাগা পরিবারটি। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের । শিবসাগর জেলায় সংঘটিত হয়েছে এই হৃদয় বিদারক অমানবীয় ঘটনাটি। পেশায় রাজমিস্ত্রি মন্টু ভূঁইয়া লক ডাউনের ফলে বর্তমানে কর্মহীন। পত্নী রিজু ভূঁইয়াও পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতে সাহায্য করতেন। কিন্তু বর্তমানে নিরূপায়। চারটি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে পরিবারটিকে। অভাবের তাড়নায় মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটি হতো । এটা স্বাভাবিক , কিন্তু এরই সুযোগ নিয়ে ঘর মালিক মহিলা ভাড়া পরিশোধ করতে বলায় রিজু ভূঁইয়া ১৫০০টাকা ঘর মালিকের হাতে তুলে দেন । কিন্তু ঘর মালিক মহিলা তা মেনে নিতে চান নি। ২৫০০ টাকাই দিতে হবে নতুবা ঘর ছাড়তে হবে। রিজু ভূঁইয়া অনেক কাকুতি মিনতি করে ২৩ তারিখ মাস সমাপ্ত হলে যেভাবেই হোক ভাড়া পরিশোধ করে দেবে বলা সত্বেও ঘর মালিক মেনে নেননি । ১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার মন্টু ভূঁইয়ার পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিলেন নিষ্ঠুর ঘর মালিক। বাধ্য হয়েই রাস্তার ধারে ফুটপাতে আশ্রয় নিতে হয়েছে পরিস্থিতির শিকার মন্টুর পরিবারকে । তবে সমাজের একাংশ সচেতন নাগরিক ঘটনাটি প্রশাসনকে অবগত করার পর প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে । প্রশাসনের তরফ থেকে ঘর মালিককে সতর্ক করা হয় এই বলে যে এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই একটি পরিবারকে এভাবে ঘর থেকে বের করা যাবে না এবং এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিতও নয়। যদি ভবিষ্যতে এ ধরণের অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে পুলিশ থানায় অভিযোগ জানাতে । মন্টুর পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে অযথা চিৎকার-চেঁচামেচি করে ঘরের পরিবেশ নষ্ট না করে শান্তি বজায় রাখতে । যাই হোক অবশেষে সমাজের সচেতন নাগরিক এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মন্টুর পরিবার আবার সেই ভাড়া ঘরে ঠাঁই পেয়েছে ।