মালদা, ১০ মার্চ । নাবালক ছেলেকে মাদক খাওয়ানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মী বাবাকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমতলা এলাকায়। অভিযোগ ওই নাবালকের বাবাকে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটানোর পাশাপাশি চাকু দিয়ে কপাল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই ঘটনায় হামলাকারী তাহির মিঞা এবং কায়েশ শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের পরিবার । পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম সফি মিঞা (৪২)। তিনি পেশায় দিনমজুর। পাশাপাশি সে এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত। অভিযুক্ত দুই প্রতিবেশী জাহির মিঞা ও কায়েদ শেখ, তারা সিপিএম কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে একটি বিবাদ চলছিল ।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সফি মিঞা চিকিৎসারত অবস্থায় বলেন, তার ১৫ বছরের নাবালক ছেলে জিয়াউল মিঞাকে জোরপূর্বক মাদক খাওয়ানোর চেষ্টা করে সিপিএম কর্মী তাহির মিঞা ও কায়েদ শেখের। বাড়ির সামনে এই ঘটনার খবর শোনা মাত্রই তৃনমূল কর্মী সোফি মিঞা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত দুই সিপিএম কর্মী দলবল নিয়ে তাকে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাঠিয়ে দেয়। এরপর চাকু দিয়ে খুনের চেষ্টার চালানো হয় বলে অভিযোগ । স্থানীয়রাই আক্রান্ত অবস্থায় সফি মিঞাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
আহতের এক আত্মীয় মুজাফফর মিঞা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা মনে করা হয়েছে। আক্রান্ত সফি মিঞা দীর্ঘদিন ধরে তৃনমূল করেন। আর অভিযুক্তেরা সিপিএম দল করে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক পুরনো বিবাদ ছিল, সেই কারণেই এই হামলা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলারঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সমর মুখার্জী । তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই হামলা চালিয়েছে বিরোধীরা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র জানিয়েছেন , এই ঘটনার পিছনে দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দুই পরিবারের গোলমালের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। এখন নিজেদের দায় এড়াতে মিথ্যাভাবে সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে ।