রাজ্যের মহানগরীতে এই মুহূর্তে তোলপাড় কান্ড আনিস খানের মৃত্যুতে। আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করা হয়েছে যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং। এবার সেই ঘটনায় নতুন মোড়। আনিস কাণ্ডে আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এমনকি পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও দাবি করেছে আনিসের পরিবার। এবার সেই পুলিশকেই সাসপেন্ড করা হল।
সূত্রের খবর, যে তিন জন পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছেন তাদের মধ্যে এক কনস্টেবল, একজন এএসএই এবং একজন হোমগার্ড। প্রত্যেকেই গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক সাংবাদিক বৈঠকে তদন্তকারী দলের সম্পর্কে জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং এই ঘটনার তদন্ত কমিটির শীর্ষে থাকবেন তো বটেই, তাঁর সঙ্গে থাকবেন ডিআইজি সিআইডি মিরাজ খালিদ ও বারকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। একমাত্র তারা যদি মনে করেন যে আরও কাউকে দলে লাগবে তাহলে তারাই তাঁকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। আজ থেকেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
অন্যদিকে আবার পুলিশের তরফেই জানান হয়েছে অন্য কথা। হাওড়ার পুলিশ সুপার জানান, বাগনান থানায় পকসো আইনে মামলা ছিল আনিসের বিরুদ্ধে। এমনকি আদালত থেকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর জেরেই কিছু হয়েছে কি না তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, ছাত্রনেতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত হবে। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খানকে৷ পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে আমতা থানা৷ তাঁদের দাবি, তারা ওই বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি।