নিজস্ব সংাাদদাতা: অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় নিয়ে ল্যাজেগোবরে হচ্ছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের সল্টলেকের বাড়িতে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে বেশ সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের ফাটানো যুক্তির সেই সুরে অন্য মাত্রা যোম করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-র অনুরোধেই তিনি নাকি দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। আর এরপরই শুরু হয় জোর জল্পনা। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটাতে এবার শেষ পর্যন্ত সরব হলেন খোদ মহুয়া দেবী। রাজনৈতিক মহলে চলতি জল্পনার মধ্যে মহুয়া দেবী বলেন, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য আদৌ কি বিশ্বাসযোগ্য! তিনি বলেন, দিলীপবাবু রসিক মানুষ। উনি রসিকতা করে থাকলে তিনি তাতে কি করতে পারেন। কিন্তু তার পরেও জল্পনা এখন জারি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপবাবুল বুধবার দাবি করেন, মহুয়া মৈত্র-র অনুরোধেই তিনি দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক। আর তারপরই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি শোভন-বৈশাখীর আপত্তি সত্ত্বেও দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে ঠাঁই দেবে দিলীপ ঘোষ?
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, কিছুদিন আগে তাঁকে মহুয়া মৈত্র ফোন করে ছিলেন। প্রথমে ব্যস্ত থাকায় তিনি মহুয়ার ফোন ধরতে পারেননি। পরে তিনি নিজেই তাঁকে ফোন করেন। আর তখনই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাঁকে দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন দেবশ্রীর দলে জায়গা নেই। তাঁর দলও তাঁকে এখন গ্রহণ করেনি। যা নিয়ে দেবশ্রী মনকষ্টে রয়েছেন। আর সেই অনুরোধেই তিনি দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রথম দিন দেবশ্রী আসলেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই পরে অন্য সূত্র মারফত তাঁকে ডেকে পাঠান দিলীপ ঘোষ বলে দাবি করেছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেই অনুসারে দ্বিতীয় দিন তিনি দেবশ্রীর সঙ্গে কথা বলেন। দিলীপ ঘোষের এই ফোন করে অনুরোধের তত্ত্বে বিশেষ আমোল দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই মন্তব্য নিয়ে যে রাজনৈতিক মহলে বেশ জল্পনা চলছে তা বলাই যায়।