দর্শকদের জন্য খুলে গেল কুতুবমিনার, লালকেল্লা আপাতত বন্ধ তাজমহল দর্শন

দর্শকদের জন্য খুলে গেল কুতুবমিনার, হুমায়ুনের সমাধি সহ রাজধানীর কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি। করোনা মহামারীর জেরে তিনমাসেরও বেশি সময় এগুলি বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে আগ্রায় করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় আপাতত খুলছে না তাজমহল। বন্ধ থাকছে আগ্রার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলিও। ফলে অনেকটাই হতাশ পর্যটকরা। সাধারণভাবে সোমবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকে লালকেল্লা। ফলে এদিন সেটি খোলেনি। আজ মঙ্গলবার থেকে সেখানে দর্শকরা ঢুকতে পারবেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানীতে খুলে যাওয়া ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলিতে কড়া নিয়ম জারি থাকবে দর্শকদের জন্য। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। মাস্ক না পরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। দু’টি পর্যায়ে টিকিট কাটতে পারবেন দর্শকরা। একটি পর্যায়ের টিকিটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা যাবে। অন্য পর্যায়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রতিটি ধাপে সর্বাধিক দেড় হাজার জনকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে দিল্লিতে ১৭৩টি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। এর মধ্যে লালকেল্লা, হুমায়ুনের সমাধি ও কুতুবমিনার ইউনেস্কো স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে সফদরজং সমাধি, তুঘলকাবাদ দুর্গ, ফিরোজ শাহ কোটলার মতো বহু ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের নির্দেশে ওই স্মৃতিস্তম্ভগুলি এদিন থেকে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
যদিও আগ্রার জেলাশাসক প্রভু এন সিং জানিয়েছেন, তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট, আকবরের সমাধি সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বাফার জোনে রয়েছে। তাজমহল দর্শকদের জন্য না খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। 
জানা গিয়েছে, সাধারণভাবে অন্য সময় লালকেল্লায় দিনে প্রায় ১২ হাজার, হুমায়ুনের সমাধিতে প্রায় ১০ হাজার, কুতুবমিনার দেখতে ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শক ভিড় করেন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ মোট ৩ হাজার ৬৯১টি স্থান রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। করোনার কারণে যা মার্চের শেষ থেকে বন্ধ।