তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। বৃহস্পতিবার রাতভর সেখানে চলে গোলাগুলি। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি মফিজুল হক জানিয়েছেন, ‘দলের ব্যাপার, দল মিটিয়ে নেবে।’
জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের সঙ্গে ব্লক সভাপতি মফিজুল হকের রেষারেষি বহু পুরনো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাকলায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে বসে ছিলেন রহিমা মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, তখন সেখানে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় মফিজুল হকের অনুগামীরা। পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ বোমাবাজি চলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চলেছে গুলিও। এতে দুপক্ষের মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ডজনখানেক তৃণমূলকর্মীকে আটক করে তারা। উত্তেজনা প্রশমণে গ্রামে বসেছে পুলিশ পিকেট।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন মফিজুল হক। তবে বোমাবাজি ও গোলাগুলির কথা স্বীকার করেননি তিনি। তাঁর দাবি, ‘দলের ব্যাপার। ওপরের নেতাদের জানানো হয়েছে। দল মিটিয়ে নেবে।‘ ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রহিমা বিবি।