তিন মাস বন্ধ থাকার পর খুলল তারকেশ্বর মন্দির

দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে বুধবার থেকে খুলল তারকেশ্বর মন্দির। রথের দিন সন্ধ্যায় আধঘণ্টার জন্য খুলেছিল তারকেশ্বর মন্দির। তবে, বুধবার থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা। রথযাত্রার শুভ দিনে বিগ্রহ দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল তারকেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গন। এর পর বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা।

মন্দিরের তরফে জানা গিয়েছে , সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। একসঙ্গে বেশি ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। ভক্তদের প্রত্যেককে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাউজার। তবে, মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিললেও আপাতত গর্ভগৃহে যেতে পারবেন না ভক্তরা। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চোঙের মাধ্যমে গর্ভগৃহের বাইরে থেকে জল ঢালতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।

যদিও মন্দির খোলার ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন মন্দিরের মোহন্ত মহারাজ। কিন্তু সব ভক্তদের জন্য কবে থেকে পুরোপুরি মন্দির খোলা হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে খুব শীঘ্রই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দির এমনটাই জানিয়েছিলেন মোহন্ত মহারাজ।

লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল সমস্ত ধর্মীয়স্থান। এর পর একে একে খুলতে থাকে উপাসনালয়। চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা। তবে, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন নিয়মে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয় বেলুড়। দর্শনার্থীরা শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পরে একগুচ্ছ নিয়ম মেনে শুধুমাত্র রামকৃষ্ণদেবের মন্দির (মূল মন্দির), ব্রহ্মানন্দ মন্দির, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের সমাধি-মন্দির দর্শন করতে পারবেন। মঠে প্রবেশের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক। দীর্ঘ তিনমাস পর খুলেছে তারাপীঠ মন্দিরও। রথযাত্রার দিন খোলে মন্দিরের দরজা। তবে গর্ভগৃহে ঢুকতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা, বাইরে থেকে দর্শন করতে হবে বিগ্রহকে। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে শ্মশানে খাওয়াতে হবে। মন্দির চত্বরে বসে কেউ ভোগ খেতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে লাইন দিতে হবে। সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে তিনটি স্যানিটাইজেশন টানেল। তার মধ্যে দিয়েই ঢুকতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।