বিশেষজ্ঞদের সতর্কবাণী করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। আর এই তরঙ্গে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তাই এই ঢেউ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাই এবার সংক্রমণের চেন ভাঙতে শিশুদের টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তবে সমস্যা কেবল একটাই। এই দেশে এখনও শিশুদের জন্য নেই কোনো টিকা। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজারের এম আর এন এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতে শিশুদের টিকাকরণে দেশিয় টিকা কোভ্যাক্সিনেরই প্রয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাহিদার তুলোনায় ফাইজার ভ্যাকসিনের যোগানের অতিরিক্ত তারতম্যের আশঙ্কা রয়েছে, এছাড়া যোগান চাহিদা মতো হলেও তা কবে ভারতে পৌঁছবে তা এখনও অস্পষ্ট। তাই দেশিয় টিকাই শিশুদের প্রয়োগের পক্ষপাতী কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বিদেশে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজারের ভ্য়াকসিন প্রয়োগের অনুমোদন মিলেছে। এছাড়া, ২-১৮ বছর বয়সীদের উপর পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগের ছাড়পত্রও পেয়েছে ভারত বায়োটেক। সফল প্রয়োগ সম্ভব হলেই শিশুদের টিকাকরণে আর কোনও বড় বাধা হবে না বলেই মনে করছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ভারতে কিন্তু ১৩০ কোটির মধ্যে ১০৪ কোটি জনগণই ১৮ বছরের কম বয়সী। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের প্রয়োজন কমপক্ষে ২০৮ কোটি ভ্যাকসিন।