ডিজিটালে আস্থা রেখেই লেনদেন বাড়ছে ব্যবসায়। নগদ টাকায় সংক্রমণ ছাড়ানোর ভয়। তাই ভরসা বাড়ছে অনলাইন বা ডিজিটাল লেনদেনে। লকডাউনেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। আনলক পর্বে এসে যা গতি পেয়েছে।রোজ একটু একটু করে বাড়ছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম ও ব্যবসা। কারণ, মানুষ ফিরছে স্বাভাবিক জীবনে। আর সেক্ষেত্রে চেক, পিওএস, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন পেমেন্টেই জোর দিচ্ছেন নাগরিকরা। অন্তত জুন মাসে দেশজুড়ে যেভাবে ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট। এব্যাপারে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক অবস্থা এখনও ভালো নয়। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভর করে বাজারও যে একটু একটু করে চাঙ্গা হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতিতে ফিরছে, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম তার অন্যতম বড় প্রমাণ। সেই পথে এরাজ্যেও আর্থিক উন্নতির দিকে চাকা গড়াতে শুরু করেছে।
গত এপ্রিল মাস পুরোটাই ছিল লকডাউনে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এনপিসিআই) হিসেব অনুযায়ী, সেই মাসে মোট ৬ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকার ডিজিটাল পেমেন্ট হয়েছিল। মে মাসে সেই লেনদেন বেড়ে হয় মোট ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। জুন মাসে এই অঙ্ক ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটার পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে জুন মাসে। এনপিসিআইয়ের হিসেব, মে মাসে ই-কমার্স এবং দোকানের কাউন্টারে গিয়ে ‘রুপে’ কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট হয়েছিল ১১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকার। জুনে তা ১৪ হাজার ১৭৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ‘ভিম’ অ্যাপের মাধ্যমে মে মাসে পেমেন্ট হয় ৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকার। এক মাসের তফাতে তা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমেও ডিজিটাল পেমেন্টে বড় সাফল্য মিলেছে জুনে। সেখানে মোট লেনদেন হয়েছে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। অথচ মে মাসে তা ছিল ২ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা। গত মাসে ভালো সাফল্য মিলেছে আরটিজিএস বা এনইএফটি-র মতো অনলাইন পেমেন্টেও। যার মাধ্যমে মে মাসে মোট ১ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। জুনে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকায়।