তৃনমূল নেতার চা বাগানের গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বুধবার সকালে এমনই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলাসী মৌজার বাগডোগরা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায় ঝাড়বাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হাসান কামাল রানার (ছোটে) সাড়ে চার বিঘা চা বাগানের প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং কিছু গাছ কেটে ফেলে রেখে গেছে রাতের অন্ধকারে। অভিযোগের তীর বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা তথা ঝাড়বাড়ী তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হাসান কামাল রানা জানান, গতকাল রাতে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করছে বিজেপি। সেই সাথে ছক কষে তৃণমূল নেতাদের বাগান দোকানপাটে হামলা চালাচ্ছে তারা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। গতকাল রাতেও আমার চা বাগানের প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে আমার। আমরা এ বিষয়ে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবো। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান সকালে মাঠে কাজ করতে এসে দেখি এই বাগানের মধ্যে অনেকগুলি গাছের কিছু উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং কিছু গাছ কেটে রেখে গেছে কে বা কাহারা। রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে গেছেন। এদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করেছেন উত্তর দিনাজপুর বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন। তিনি বলেন ভোট গণনা পরবর্তীকালে চোপড়া বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে, এমনকি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপি কর্মীরা এখনো পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে পারছে না। তাহলে কিভাবে বিজেপি এই ঘটনা ঘটালো। এটাই লক্ষ টাকার প্রশ্ন। আসলে সবই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এখন তারা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। তাই একে অপরের ক্ষতি করছে, আর নাম দিচ্ছে বিজেপির।