তৃতীয় দফার ভোটের আগের দিন চারটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুঁচুড়া, চণ্ডীতলা, উত্তরপাড়া ও ভাঙড়ে। রবিবার পুরশুড়ার সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, তিনি নিজে না সরলে তাঁকে সরানো মুশকিল। সোমবারের সভা থেকে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, কোন সুরে তোপ দাগেন বিজেপি-কে, সেই দিকেই নজর সকলের।
নরেন্দ্র মোদীর কথায় বিশ্বাস করবেন না। আমার স্লোগান ‘জয় বাংলা।’ যদি কোনও এজেন্ট দূর্বল হন, তাহলে তাঁকে বলে দিন, তাঁর এজেন্ট হওয়ার দরকার নেই। নন্দীগ্রামে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। কাপুরুষদের এজেন্ট করার দরকার নেই। তেমন দরকার হলে মেয়েদের এজেন্ট করে দিন। পুলিশ অত্যাচার করলে ভিডিয়ো তুলে ভাইরাল করে দিন। নন্দীগ্রামে অনেক অত্যাচার করেছেন পুলিশ। সেই জন্যই আমি বসেছিলাম। বাংলার দুটো গদ্দার বিজেপি-কে দিয়ে দেশ শাসন করাবে? আমরা ছাড়ব না। যত ক্ষণ থাকবে প্রাণ, তত ক্ষণ লড়াই করব। ওরা একদিন পালিয়ে যাবে, আমরা পালাবো না।
কন্যাশ্রীতে বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিচ্ছে। ছাত্র যৌবন বাংলাকে বিশ্ববাংলায় পরিণত করবে। নির্বাচনে আগে আমার পা-য়ে আঘাত করল। বলাগড়ের প্রার্থী একজন রান্না করতেন। কত বই লিখেছেন। তিনি আজকে বলাগড়ের প্রার্থী, মনোরঞ্জন ব্যপারী। আমি তো জিতবই। সবাই একসঙ্গে থাকবেন। দাঙ্গা করলে আমাদের পাঙ্গা নিতে হবে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে পুলিশ নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করবে। ভয় পাবেন না। আমাকে মেরে ফেললেও আমি ভোট দেব, আপনাদেরও দিতে হবে। দরকার পড়লে, মেয়েদের এজেন্ট করে দিন। মেয়েরা জোট বাঁধলে কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বিজেপি-কে শক্তি থাকলেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। বেশি চিন্তা করবেন না। আমাদের সরকার আসছে। বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে এসে যাঁরা গুন্ডামি করে, তাঁদেরকে চিহ্নিত করবই। ওঁদের গুন্ডামি করতে দেবেন না।
হুগলী জেলা থেকে তৈরি হবে শিল্প সুন্দরী।হুগলীতে অনেক ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। তাঁতিদের আমরা টাকা দিচ্ছি। রাজ্য সরকার হুগলির তাঁতিদের থেকে কেনা হয়। আমিও হুগলির তাঁতিদের দেওয়া শাড়ি পরি। এখানে তাঁত শিল্প বড় শিল্প। এখানে শিল্প হাব হচ্ছে। মাহেশের রথে আমরা সাহায্য করছি। বিজেপি-র একটি মিটিং দেখছিলাম। সেখানে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়। বিজেপি একটা চোরেদের পার্টি। বাবুল সুপ্রিয়, লকেটের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয় না। লকেট আসলে সারদার গলার লকেট। বিজেপি যদি এতই ভাল দল হয়, তাহলে স্থানীয় প্রার্থী খুঁজে পেল না বিজেপি। বিজেপি-র প্রার্থী নেই। বিনা পয়সার চাল ফোটাবেন ৯০০ টাকার গ্যাস দিয়ে? ওদের ভাল করে ফুটিয়ে দিন।
হুগলী জেলার এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। হুগলীতে অনেক কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। আগামী দিন জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য। জেশপ সংস্থা খোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছি। কারখানার মালিক বিজেপি হয়ে গিয়েছে। তাই বিজেপি কিছু করছে না। এখানকার শ্রমিকদের আমরা ১০ হাজার টাকা করে দি। আমরা ডানলপ, জেশপ অধিগ্রহণ করতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে লাভ হয়নি।