দিন যতই এগোচ্ছে বিধানসভার কাউন্টডাউন ততই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির । তৃণমূল মরিয়া রাজ্যের শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে। এর জন্য আনা হয়েছে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে । পিকের পরামর্শ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো । দিদিকে বলো, যুববাহিনী গঠন, যুবশক্তি একাধিক কর্মসূচিতে বাংলার তরুণ, যুবক, সবাইকে সক্রিয় করে তুলছে দলের কাজে ।যুব বাহিনীর দ্বারা মমতা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজগুলিকে প্রচার করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল । কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা উত্তরবঙ্গ নিয়ে ।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের মুখ পুড়েছে । বিশ্বস্ত সূত্রের খবর গৌতম দেব ,রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিজয়চন্দ্র বর্মন সৌরভ চক্রবর্তীদের এবার অগ্নিপরীক্ষা বিধানসভা নির্বাচনে ।তাই করোনা পরিস্থিতিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে লোকের কাছে । কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার উত্তরবঙ্গের তৃণমূল ।কোচবিহার,শিলিগুড়ি , বালুরঘাট সর্বত্রই তৃণমূলের একই চিত্র । কোচবিহারে রবি-পার্থপ্রতিমের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , শিলিগুড়িতে গৌতম দেব-রঞ্জন সরকারের সম্পর্কের ব্যবধান কিংবা বালুরঘাটের অর্পিতা -বিপ্লবের ইগোর লড়াই নিয়ে নাজেহাল উত্তরের তৃণমূল সংগঠন । মমতা ব্যানার্জির বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি হয়নি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নদলের ।
বিরোধী শিবির বিজেপিরও অবস্থা একই । লোকসভা ভোটে মোদি হাওয়ায় উত্তরের সব লোকসভা আসন জিতলেও বিধানসভা নির্বাচনে মোদি-ম্যাজিক যে কাজে লাগবেনা সে বিষয়ে সন্দেহ নেই রাজ্য বিজেপিতে ।তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি । করোনার আতঙ্কেও বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের বারবার সফর, অরবিন্দ মেনন-কিশোর বর্মনদের কর্মীসভা এরাজ্যে পালাবদলে মরিয়া পদ্মশিবির । কিন্তু জলপাইগুড়ি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে ।ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে সফর করেছেন রাজ্যসভাপতি দিলিপ ঘোষ।