অবশেষে প্রায় চার ঘণ্টা পর অবরোধ উঠল হাওড়া-বর্ধমান মেন রেলপথের খন্যান স্টেশন থেকে। সোমবারের পর, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে খন্যান স্টেশনে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাওড়া-বর্ধমান মেন রেলপথে সকালের দিকে সময়মতো ট্রেন চালাতে হবে এবং ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
হাওড়া-বর্ধমান শাখায় শক্তিগড় থেকে রসুলপুর পর্যন্ত থার্ড লাইনের কাজ চলছে। সেই কারণে ৩ অগস্ট থেকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত বহু লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। অবরোধকারীদের অভিযোগ, সময়ে ট্রেন চলছে না। যে ট্রেন আসছে, তাতে অসম্ভব ভিড়। তাই বাড়তি ট্রেন চালানো-সহ একাধিক দাবিতে সোমবার খন্যান, তালান্ডু এবং পাণ্ডুয়া স্টেশনে অবরোধ করেছিলেন যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলের তরফে বলা হয়েছিল, অফিস টাইমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। । আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। অবরোধের জের গিয়ে পৌঁছয় ব্যান্ডেল-সহ অন্যান্য স্টেশনেও।
অবশেষে রেলের আধিকারিকদের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। ১১টা নাগাদ আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন পাথর ছোড়ার ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। ৫৪টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৪টি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লোকাল ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হবে বলে জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯টি লোকাল ট্রেন বর্ধমানের পরিবর্তে মেমারি থেকে ছাড়বে। ১৫ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২৫টি লোকাল ট্রেন মেমারি থেকে ছাড়বে। হাওড়া থেকে ছাড়া আপের ট্রেনগুলিও মেমারি স্টেশনে এসে থামবে। বাতিল হওয়া দূরপাল্লার ট্রেনগুলির মধ্যে থাকছে ডাউন মোকামাঘাট এক্সপ্রেস, ডাউন বালিয়া এক্সপ্রেস, গণদেবতা এক্সপ্রেস, ডাউন জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, আপ অজমেঢ় এক্সপ্রেস, আপ বাঘ এক্সপ্রেস, আপ আজিমগঞ্জ এক্সপ্রেস, ডাউন রক্সৌল এক্সপ্রেস, আপ বিশ্বভারতী স্পেশাল।