কোথায় ঠাঁই হবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট – এর?

ঐতিহাসিক ঘটনা, যা এত তাড়াতাড়ি হবে কেউ আশা করেনি। দেখতে দেখতে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একটা গোটা দেশ চলে গেলো তালিবানদের হাতে। শুরু হলো নয়া রাজত্ব। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কাবুল ছেড়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট। চারটি গাড়ি ও ক্যাশ-ভর্তি হেলিকপ্টার নিয়ে। কিন্তু আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় পেলেন না আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। শেষ পর্যন্ত গনি আমেরিকাতেই আশ্রয় নিতে পারেন বলে জল্পনা। তাঁর সঙ্গে সেখানে রয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব। তালিবানের সামনে কখনও মাথা নত করবেন না বলে বার্তা দিলেও, সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ কিন্তু তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।

এই শাসন ​​ব্যবস্থার পতনের জন্য আফগানিস্তান থেকে ঘনির পলায়নকে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একসময় দীর্ঘ দিন আমেরিকার নাগরিক ছিলেন গনি। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে, সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান আমেরিকার নাগরিক। অন্য দিকে, আফগানিস্তানের আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এখনও দেশেই রয়েছেন। আফগানিস্তানে পূর্ণ এবং সার্বিক সরকার গঠনের জন্য তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই তালিবান ঘোষণা করেছে যে কাবুল মোটামুটি শান্ত এবং খুব তাড়াতাড়ি তারা সরকার গঠন করবে। এরপরই জানা গিয়েছে যে খুব দ্রুত মুছে যাবে আফগানিস্তানের নাম এবং বদলে যাবে দেশের পতাকা। সেই দেশের নতুন নাম হতে চলেছে ‘ ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’, বদলে যেতে চলেছে সেই দেশের চিরাচরিত পতাকা। আতঙ্কে চলে গিয়েছে আফগানরা কারণ তারা মনে করছে এবার আআগের মতোই ইসলামিক আইন তৈরি হবে আফগানিস্তানে। যেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফতেয়া জারি করা হবে এবং হয়তো কথায় কথায় দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ড। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।