সপ্তাহে পাঁচ দিন, দিনে দু’ঘণ্টা করে এই ক্লাস করানো হবে। ক্লাসে যদি পরপর তিন দিন কোনো কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে আর এই কোচিংয়ের সুযোগ দেয়া হবে না। যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলায় ক্লাস করতে চায় তারা সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত এই কোচিং এ অংশগ্রহণ করবে। এবং যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজিতে ক্লাস করবে তারা চারটা থেকে ছয়টা ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে।
এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রবন কাদিয়ান বলেন, আপনারা অতি সহজেই এমন কোচিং করার সুযোগ পাচ্ছেন।আমার সময় ভাই থেকে আড়াই ঘন্টা ট্রেনে জার্নি করে হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে এসে করতে হতো। আমি বলবো আপনাদের যদি কোন বিষয় সম্বন্ধে সঠিক ধারণা না থাকে সেই জায়গাটায় কোচিং আপনাকে সাহায্য করবে। কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নিয়ে পড়াশোনা করলে আপনার বেশি কাজে লাগবে।
এরপর এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা একা একা পড়াশোনা না করে যদি কয়েকজন বন্ধু মিলে গ্রুপ তৈরি করে পড়াশোনা করতে পারেন সেটা অনেক কাজে দেবে।
প্রান্তিক জেলা কোচবিহারে জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। কোচবিহার জেলায় প্রচুর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও সঠিক দিশা না পেয়ে অচিরেই তারা পড়াশোনা ছেড়ে দেন। এর ফলে তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যায়। জেলা পুলিশের উদ্যোগে আগামী দিনে কোচবিহার জেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক পথ খুঁজে পাবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।