সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সচেতন করতে ছাত্র-ছাত্রী গবেষক, শিক্ষক, আধিকারিক ও শিক্ষাকর্মীদের সামনে বক্তৃতা দিলেন আইপিএস অফিসার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। সচেতনামূলক এই বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করেছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। মূল বক্তব্যের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল বলেন, বর্তমান সময়কালে সমাজে সাইবার ক্রাইম ভয়ঙ্কর ভাবে থাবা বসাচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেকেই খুব সহজেই প্রতারিত হচ্ছে। কাজেই সাইবার ক্রাইমকে প্রতিরোধ করতে হলে সকলের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা এই বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করি। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই উপকৃত হবেন।
বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে প্রাঞ্জল ভাষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিআইডি শাখার ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় অসাধারণ বক্তৃতা দেন। তিনি অনেক দৃষ্টান্ত দিয়ে ইন্টারনেট ও সমাজমাধ্যমে কীভাবে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে তা সম্পর্কে বিশদে ব্যাখ্যা করেন। এক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হতে হবে সে বিষয়েও সকলকে জানান। তিনি বলেন বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি প্রতিটি জেলায় সাইবার ক্রাইম বিষয়ে পৃথক থানা গঠিত হয়েছে। মূল বক্তৃতার পরে প্রশ্ন-উত্তরের পর্ব চলে। অনেকেই বাস্তবে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার সমাধান তাঁর কাছে জানতে চান। বক্তা সেগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে এই প্রথমবার সচেতনামূলক বক্তৃতার আয়োজন করে। বেশ সাড়া ফেলেছে ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে এই বক্তৃতার আয়োজন। আগামী দিনে এধরনের আরও বক্তৃতার আয়োজন হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশ্বাস দেন। মূল বক্তৃতার শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আই কিউ এস সি’র অধিকর্তা অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুজয়কুমার মন্ডল বলেন, আজকের কল্যানবাবুর বক্তৃতায় আমরা বিশেষভাবে উপকৃত হলাম। কয়েক মাস আগেই আমাদের এক সহকর্মী সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে প্রতারিত হয়। এ বিষয়ে আমরা কল্যাণী থানা তে অভিযোগ করি। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় সঠিকভাবে আমরা সঠিক জায়গায় অভিযোগ করতে পারিনি। ফলে কোন সমাধান সূত্র বেরোয় নি। এই প্রেক্ষিতে আজকের এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্য অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মনে করছি।