করোনা অতিমাররী রুখতে রাজ্য জুড়ে চলছে বিধি নিষেধ, আর এই বিধিনিষেধের ফলে দুঃস্থ দিন আনা দিন খাওয়া বহু মানুষের কাজ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পথে বসতে চলেছে অনেকেই। কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন বহু মানুষ। তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন হূমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশন। সারা বছর সাধারণ মানুষের পাশে থেকে পরিসেবা দেওয়াই তাদের কাজ। গত বছরেও এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে অনেক পরিসেবা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার চিত্রটা অন্য রকম। সরকার যে রকম ভাবে মানুষকে রেশন দেন ঠিক সে ভাবেই সমাজে খেটে খাওয়া নিঃস্ব মানুষগুলিকে এই করোনা কালে মাসে মাসে রেশন দেবেন বলে জানান ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। যাতে এক মাস ঘরে বসেই খেতে পারে। তার জন্য তৈরী করা হয়েছে অন্নদাতা ক্রেডিট কার্ড।
ক্যাটাগরিতে থাকছে এ, বি, সি। এ – তে থাকছে ১৭ রকমের খাদ্য সামগ্রী, বি – তে থাকছে ১১ রকমের খাদ্য সামগ্রী, সি – তে থাকছে ৬ রকমের খাদ্য সামগ্রী। এই কর্মসূচী হিসেবে এদিন জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পাতকাটা কলোনি এলাকার এক দুস্থ পরিবারের হাতে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ফাউন্ডেশনের কর্মিরা। হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশনের জলপাইগুড়ি শাখার সভাপতি নবেন্দু মল্লিক বলেন, “এই করোনা পরিস্থিতিতে কেউ যাতে না খেয়ে না থাকে তাদের কথা চিন্তা করে, গরীব দুঃস্থ খেটে খাওয়া মানুষদের খাওয়া দাওয়ার জন্য আমরা রেশন ব্যবস্থ্যা করেছি। এবং তাদের নামে কার্ড হোল্ডার তৈরী করে তাদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিচ্ছি।” এই কর্মসূচি লাগাতার চলবে বলে তিনি জানান। এই পরিস্থিতিতে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি সমাজে বেঁচে থাকা নিঃস্ব পরিবারগুলি।