সামনেই আসন্ন বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ঢাকে কাঠি পড়লো বলে। গত বছরের মতো চলতি বছরেও পূজা হবে করোনা আবহেই। শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতি। এবার এই পূজা নিয়ে বৈঠক হলো রাজ্য সরকারের তরফে। কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কদিন পরেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে এখনও কমেনি করোনা পরিস্থিতি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারাও।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, গতবছরের মতোই কোভিড প্রোটোকল মেনে অয়োজন হবে পুজোর। করোনা বিধি মেনেই প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন সকলে। যদিও পুজোতে নাইট কার্ফু জারি থাকবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আগের বছর যেভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে পুজো করা হয়েছে, সেভাবেই এবছর পুজো হবে। চিন্তার কারণ নেই। নিশ্চিন্তে পুজো করুন। কলকাতায় প্রায় আড়াই হাজার পুজো হয়। রাজ্যে প্রায় ৩৬ হাজার। পুজো কমিটি করোনা বিধি মেনেই ছোট করে পুজো করুন।”
করোনা আবহে পুজো কমিটিকে মাস্ক সরবরাহ করার নির্দেশও দেন তিনি। মমতা বলেন, “যত বেশি মাস্ক, তত বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে পারব। রাতের পুজো পরিক্রমা পরে ভেবে দেখা হবে, আগের বছর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত উপনির্বাচনের পর নেওয়া হবে। তৃতীয় তরঙ্গ না আসলে এটা ভেবে দেখব।”
পাশাপাশি, আগামী ১৮ অক্টোবর রাজ্যে পুজো কার্নিভ্যাল হওয়ার কথা। ২০২০ সালে করোনা কাঁটা তা বাতিল করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও সেটি হবে কিনা, তা নিয়েও এখনও কিছু জানানো হয়নি। মমতা বলেন, ‘পুজোয় এ বছর কার্নিভ্যাল হবে কিনা, তা করোনা পরিস্থিতি বুঝে পরে জানানো হবে।’ সব মিলিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রেখেই ২০২১ দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারাও।
করোনার মধ্যে পুজোকমিটি গুলোর জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের। গত বছরের মতো এ বছরও প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে পুজোর খরচ বাবদ। এখানেই শেষ নয়, বিদ্যুৎ বিল-সহ অন্যান্য সমস্ত লাইসেন্স খরচও মুকুব করা হবে, আজ নেতাজি ইন্ডোরে দুর্গা পূজার গাইডলাইন নিয়ে বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রতিবারের মতোই রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে এবারও দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন। মকুব করা হয়েছে পুজোর লাইসেন্স ফিও।