করোনাকালে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গুর প্রকোপ রহস্যজনকভাবে কম! কারণ জানতে তৎপর স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা

করোনার জেরে সুফল পেল শিলিগুড়ি? করোনা সংক্রমণে শিলিগুড়ি শহর এবং শহরতলী এলাকায় বহু মানুষের মৃত্যু হলেও উল্লেখ্যযোগ্যহারে এবার কমে গিয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। আর এতেই অবাক শহর শিলিগুড়ি। প্রতিবছর রাজ্যসহ শিলিগুড়িতে যেহারে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মেলে বা ডেঙ্গু রোগের থাবা বসায় করোনার সময়ে এবার তার গ্রাফ নিম্নমুখী ।বলা যায় প্রায় নেইই। আর এই ডেঙ্গুমুক্ত পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা চলছে শিলিগুড়ি বাসীর মুখে।

সূত্রের খবর, ২০১৮-১০১৯ সালে গোটা রাজ্যে থাবা বসিয়েছিল মশাবাহীত ডেঙ্গু রোগ।আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও ছিল বেশ অনেকটাই।স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে,মার্চের পরপরই এই রোগের পাদুর্ভাব ঘটে।বিগত বছরেও রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।আর ডেঙ্গুর মোকাবিলায় সজাগ ছিল শহরের পুরসভা।সংক্রমন রুখতে একাধিক কর্মসুচি গ্রহন করতেও দেখা যায় তাদের।তবে এত সত্বেও সংক্রমনের গ্রাফ ছিল উর্ধমুখি।২০২০ সালে মার্চে গোটা দেশে থাবা বসায় কোরোনা।এর ফলে লকডাউন এর পাশাপাশি সংক্রমন থেকে বাঁচতে নানান উপায়।তার মাঝেই উধাও কিন্তু ডেঙ্গু।এবছর সংক্রমনের হার শুন্য।কি কারবে তা সম্ভব?অজানা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। আগামী বছর এর প্রভাব কতটা তাও অজানা সকলের।অবিলম্বে এর কারন জানতে তৎপর হয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কো অর্ডিনেটর শংকর ঘোষ।

পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ শঙ্কর ঘোষ জানান এবছর উল্লেখযোগ্য শহর শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু কমেছে। প্রতিবছর যেভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে সেই তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে করোনার মধ্যেও শিলিগুড়ি পুরনিগম ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।তবে লকডাউনের জেরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অধিক পরিমানে স্যানিটাইজ এর না হওয়ার কারন হতে পারে বলে মনে করেন শংকর ঘোষ।লকডাউনে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এবং বার বার স্যানিটাইজার ব্যবহারে জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকার অভ্যাসের কারণও হতে পারে।