করোনাকালে দর্শকশূন্য হয়েই পাঁচদিন চলবে পুজো

কলকাতা: পুজোয় ভিড় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা৷ চিঠিও পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই পুজোর ভিড়ে করোনা সংক্রমণে বিস্ফোরণের আশঙ্কায় ঐতিহাসিক রায় কলকাতা হাইকোর্টের৷ এদিন রায় দানে বিচারপতি জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে দোষ দেওয়া যায় না৷ পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ তাই বিকল্প ব্যবস্থাস্বরূপ প্রত্যেক পুজো মণ্ডপ কন্টেইনমেন্ট জোন গণ্য হবে৷

দুর্গাপুজো নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় রাজ্যের ছোট-বড় সমস্ত পুজো মণ্ডপই ‘নো এন্ট্রি বাফার জোন’৷ প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে বাফার জোন৷ মণ্ডপে শুধু ঢুকতে পারবেন পুজো উদ্যোক্তারাই৷ তাও একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি উদ্যোক্তা মণ্ডপে থাকতে পারবেন না বলে রায়ে জানিয়েছে আদালত৷ 

হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, ছোট বড় সমস্ত মণ্ডপই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য নো এন্ট্রি৷ নো এন্ট্রি বোর্ড ঝোলাতে হবে মণ্ডপের বাইরে৷ প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে ব্যারিকেড। সমস্ত মণ্ডপে থাকবে বাফার জোন৷ ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটারের মধ্যে এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে ন। প্যান্ডেল থাকবে দর্শকশূন্য৷

৩৪ হাজার কমিটি অনুদান নিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকে হলফনামা দিতে হবে, বলেও জানিয়েছে আদালত৷ লক্ষ্মীপুজোর পরেই হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ পালন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে DGP, CP-কে রিপোর্ট পেশের কথা বলেছে আদালত৷ যদিও কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে রাজ্য সরকার অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা। ইতিমধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবন করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।