এ বছর কত টিকা পাচ্ছে ভারত

দেশে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ। দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন ভ্যাকসিনের আকাল। এমনকি একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে ভ্যাকসিন না পাওয়ার জন্য। দেশে টিকার আকাল, তারমধ্যেই স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্র। আশার আলো দেখালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ছাড়াও ৮ টি টিকা হাতে আসছে ভারতের। চলতি বছরেই ভারতের হাতে আসবে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ চলে এসেছে ভারতে। পাশাপাশি ফুড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন দ্বারা অনুমোদিত যে কোনও টিকা আসতে পারে ভারতে।

যে যে টিকাগুলো পাবে দেশ তার তালিকা দেওয়া হল:

কোভিশিল্ড দেশের তৈরি প্রথম দুটি ভ্যাকসিনের একটি হল কোভিশিল্ড। এখনো পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে এই ভ্যাকসিন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন আরো ৭৫ কোটি তৈরি হয়ে যাবে।

কোভ্যাক্সিন ভারতের আরো একটি নিজস্ব ভ্যাকসিন হল কোভ্যাক্সিন। চলতি বছরের মধ্যে আরো ৫৫ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদিত হবে দেশে।

স্পুটনিক ভি রাশিয়ান এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ভারতে। চলতি বছরে কমপক্ষে ১৫.৬ কোটি ভ্যাকসিন ভারত হাতে পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নেসাল ভ্যাকসিন ভারত বায়োটেক আরো একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে যেটি হল নেসাল ভ্যাকসিন। এটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে নয়, ড্রপারের মাধ্যমে নাক দিয়ে নেওয়া যাবে। চলতি বছরে প্রায় ১০ কোটি ভ্যাকসিন মিলবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।

নোভাভ্যাক্স সিরামের তৈরি আরও একটি ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষে ২০ কোটি হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ মে মাসের শেষেই ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে পারে। ডিসেম্বরের মধ্যে এদের ৫ কোটি টিকা পাওয়া যাবে ভারতে।

জেনোভা এম আরএনএ গত ডিসেম্বর মাসেই মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়ে গেলেও এখনও তা শুরু হয়নি। ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা দেওয়ার কথা পুণের সংস্থা জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস – এর।

বায়ো ই-সাব ইউনিট ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে ৩০ কোটি টিকা সরবরাহ করার কথা হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োলজিকাল ই লিমিটেডের।

উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রকল্পে প্রতিবেশী দেশ থেকে শুরু করে ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা-সহ অন্ত ১৫০টি দেশে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ এবং প্রতিষেধক পাঠিয়েছে ভারত। সবমিলিয়ে ৬ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভ্যাকসিন রফতানি করা হয়েছে ভারত থেকে। তবে গত মার্চ থেকে ভারতের অভ্যন্তরেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই রফতানি থমকে গিয়েছে।