এবার চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের ওপর

বিগত সময়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর আরও তৎপরতা বেড়েছে এই মামলায়। প্রাক্তন উপদেষ্টা থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম পর্যন্ত জড়িয়ে গিয়েছে এতে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার চরম অস্বস্তিতে। এবার জানা গেল, সিবিআই ছাড়াও এই এসএসসি ইস্যুতে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডি। নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে আগেই সিবিআই এফআইআর করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই তদন্ত নামছে ইডির আধিকারিকরা।

এসএসসি নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাতে অনেক টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি। সেই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করবে ইডি। আর্থিক দুর্নীতি উৎস কোথায়?‌ কারা কারা জড়িত, কে কত টাকা নিয়েছেন, সবকিছুই খুঁজে বের করতে উদ্যত হচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা এবং এই ঘটনার তদন্তের জন্য আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি মামলায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে বিচারপতি বাগের অনুসন্ধান কমিটি। সেখানে জানান হয়েছে, ৬০৯ টি ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। দাবি করা হয়েছে, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরি করেছেন। এছাড়াও নাম উঠে এসেছে, এসএসসির একাধিক কর্মী-আধিকারিকের। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং ভুয়ো নথি বানানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা উচিত বলেই আবেদন জানান হয়েছে আদালতে।

অন্যদিকে এসএসসি গ্রুপ ডি এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হলে পার্থ-র হাজিরার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতিরা। সিবিআই তদন্তের ওপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷