আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচারে ভবানীপুরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরী হয়। উত্তপ্ত হয় এলাকা। প্রচারে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সেখানে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে তৃণমূল বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আবার দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক তুলে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। সব মিলিয়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা ভবানীপুরে। ওদিকে ঘটনার পর ভবানীপুরে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করেছে কলকাতা পুলিশ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে বিধানসভা উপ-নির্বাচন। তার আগে ভবানীপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল তারা। প্রচারে হস্তক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
এদিন দিলীপ ঘোষ এলাকায় ঘুরে ঘুরে লিফ্লেট বিলি করছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রচার অটো সেখান দিয়ে যাচ্ছিল৷ সেই অটো থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল৷ চলছিল বিজেপি বিরোধী স্লোগানও৷ সেখানে আবার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছিল করোনার টিকাকরণ৷ দিলীপ ঘোষ ওই টিকা কেন্দ্রে ঢোকেন৷ এর পরেই তৃণমূল কর্মীকে সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনেন৷ তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ৷ রীতিমতো দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়৷ এরপরেই দেখা যায় দিলীপের দেহরক্ষীকে ‘সার্ভিস পিস্তল’ উঁচিয়ে ধরতে! ঠিক কী কারণে সেখানে অশান্তি হল এবং কোন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দুক বের করতে হল, তাই জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে তারা।