চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। চারদিনের সফরের শেষ দিনে ফেরার পথে শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে “পথশ্রী অভিযান” এর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রায় ১২০০০ কিমি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা।
এই চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরকন্যায় বসে উত্তরের প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক কর্তা, আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি এবং ভার্চুয়ালে বৈঠক করেন। জানা গেছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক প্রকল্প এবং অনুদান ঘোষণা করেন। রাজবংশী এবং কামতাপুরি ভাষা একাডেমিকে ৫ কোটি, রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদকে ১৫ কোটি ছাড়াও রাজবংশী ভাষায় প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় ।পাহাড় নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ১৭৫ কোটি টাকা অনুদান সেইসঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় বাসিন্দাদের পাট্টা প্রদান সহ একাধিক বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়।
কিন্তু এই বৈঠকে ব্রাত্য থাকে শিলিগুড়ি। বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারন ছাড়া আর বিশেষ কিছু জোটেনি শিলিগুড়ির ভাগ্যে এমনটাই জানা গেছে সূত্রের মারফত। রাজনৈতিক মহলে এর অবশ্য অন্য ব্যাখ্যা করেছে। জানা গেছে কলকাতার পর শিলিগুড়িকে মুখ্যমন্ত্রী অত্যধিক ভালোবাসলেও শিলিগুড়ির মানুষ তৃণমূলকে প্রতিদান দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়ি পুরনিগমন,শিলিগুড়ি মহকুমা, শিলিগুড়ির তিনটি বিধানসভা আসনে জিততে পারেনি। এই অভিমানেই শিলিগুড়ির ভাড়ার খালি বলে একাংশের মন্তব্য।