উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পালিয়ে গেলেন মিউরমাইকোসিস কিংবা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগী। হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান এক মহিলা রোগী। চিকিৎসকদের দাবি তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত ছিলেন। ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে।
বৃহস্পতিবার রাতেই মিউকরমাইকোসিসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে ওই রোগীর। বাইরে থেকে আসছি বলে মহিলা ENT অর্ন্তবিভাগ থেকে বের হন। অভিযোগ, এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর সেখানকার কর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি। তারপর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়। তবে কীভাবে নিরাপত্তা থাকা সত্বেও একজন রোগী পালিয়ে যেতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ENT অর্ন্তবিভাগের কর্মীদের দাবি, ওই রোগী কিছুতেই হাসপাতালে ভর্তি থাকতে চাইছিলেন না। তিনি ভর্তির সময় এটি মোবাইল নম্বরও দিয়েছিলেন। সেই মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। ফোনের ওপারে থাকা যুবক মহিলার ছেলে হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি মুর্শিদাবাদেই থাকেন। মা কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় যুবক। ফলে কীভাবে মহিলা মুর্শিদাবাদ থেকে শিলিগুড়িতে এলেন তা নিয়েও রহস্য রয়েছে।
মেডিক্যালের বর্হিবিভাগে প্রথম এসেছিলেন ওই মহিলা। ইনফেকশনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল ENT বিভাগে।ENT বিভাগের প্রধান ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো জানান, রোগীর ডায়াবেটিস ছিল। তিনি পালিয়ে যাওয়ায় অন্য রোগীদের কোনও ক্ষতি হবেনা। কিন্তু ওই মহিলার চিকিৎসা না হলে পরবর্তীতে বিশেষ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাঁর অস্ত্রপচারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক। পুলিশের সাহায্যে দ্রুত তাঁকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।