জোট সরকার গঠনের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু গত কালই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ বারের মতো সরকার গঠনে ব্যর্থ দেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে আজ বিরোধী নেতা ইয়ের লাপিডের হাতে নতুন সুযোগ তুলে দিলেন ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন। নেতানিয়াহুর মতোই জোট সরকার গড়তে ২৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে ৫৭ বছরের প্রাক্তন টিভি অ্যাঙ্কর লাপিডকে। কারণ, নেতানিয়াহুর ‘লিকুড পার্টি’র পরে লাপিডের দলই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।
১২০ আসনের ইজ়রায়েলি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ৬১টি আসন পেতে হত নেতানিয়াহুর দল ‘লিকুড পার্টি’কে। কিন্তু গত মার্চের ভোটে ৩০টি আসন পেয়েছে নেতানিয়াহুর দল। আজ সকালে নিজের বাসভবনে লাপিড ও আর এক বিরোধী নেতা নাফতালি বেনেটের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট। পরে তিনি জানান, লাপিডের নেতৃত্বেই জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন তিনি। বিকেলে বাকি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট এ-ও জানিয়েছেন, একগুচ্ছ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুকে প্রথমে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না। কিন্তু সেই সময়ে পার্লামেন্টের ৫৬ জন সদস্য নেতানিয়াহুর পক্ষে সওয়াল করেন। লাপিড তখন পেয়েছিলেন ৪৫টি ভোট। তাই সবার আগে সরকার গঠনের দায়িত্ব পড়েছিল নেতানিয়াহুর কাঁধেই। তবে গোটা ব্যর্থতাই বেনেটের উপরে ঠেলেছেন ‘লিকুড পার্টি’র সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, বেনেট বেঁকে না-বসলে এত দিনে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন হয়ে যেত ইজ়রায়েলে।
লাপিডের দল ‘ইয়েশ আতিড পার্টি’র ৫৬ জন সদস্য ও বেনেটের দল ‘ইয়ামিনা পার্টি’র সাত জন সদস্য দ্বিতীয় বারের জন্য নিজেদের সুপারিশ প্রেসিডেন্টের কাছে জমা করেছেন। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ‘দ্য ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি’ ইতিমধ্যেই লাপিডকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে। আগামী ২৮ দিনে এই বিরোধী নেতা জোট সরকার গড়তে বাকি দলগুলিকে রাজি করাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। তত দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের কার্যভার সামলাবেন নেতানিয়াহু-ই।