টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের (ডিওটি) আসাম লাইসেন্স সার্ভিস এরিয়া (এলএসএ) গত ৯ মার্চ করিমগঞ্জে ইএমএফ রেডিয়েশন বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে ইএমএফ রেডিয়েশন সংক্রান্ত ভিত্তিহীন ভুল ধারণা ও ভীতি দূর করার লক্ষ্যে এই কর্মশালা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিক, সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার ও অন্যান্য আধিকারিকগণ। ভার্চুয়াল মোডে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বক্তা ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন অমিত মিশ্র (সিনিয়র ডিডিজি, ডিওটি, আসাম এলএসএ), এস কে গুপ্তা (ডিডিজি কমপ্লায়েন্স), ডাঃ জে জেনা (ডিডিজি, সিওএআই), ডাঃ অরুণ চৌগুলে (সিনিয়র প্রফেসর ও এইচওডি অফ রেডিয়োলজিক্যাল ফিজিক্স, এসএমএস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালস, জয়পুর) নিসর্গ হিভারে (অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার, করিমগঞ্জ) ও ডাঃ অনুপ কুমার দইত্যারি (জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ হেলথ, করিমগঞ্জ)।
কর্মশালায় বক্তারা জানান, মোবাইল টাওয়ারের ইএমএফ রেডিয়েশন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কারণ নেই। এথেকে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাবের আশঙ্কা নেই। প্রশ্নোত্তরকালে তাঁরা জানান, ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি খুবই প্রয়োজন, যা মানুষের জীবন ও কাজকর্মের জন্য আবশ্যিক। আসামের বিভিন্ন গ্রামে ইএমএফ রেডিয়েশন নিয়ে বিভ্রান্তি অমূলক এবং টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলতে দেওয়া উচিত। এব্যাপারে আইসিএনআইআরপি নির্ধারিত ও ‘হু’ অনুমোদিত মাত্রার থেকেও ১০ গুণ বেশি কড়া নিয়ম মেনে চলে ভারত সরকার।