সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, রিয়া চক্রবর্তীর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নস, তাঁর বিভিন্ন বিনোয়োগ খতিয়ে দেখছে ইডি।
সুশান্তের বান্ধবী এদিন সকাল ১১.৫০ নাগাদ বালার্ড এস্টেট এলাকাস্থিত ইডির দফতরে হাজির হন এবং তাঁকে ইডির দফতর থেকে বেরোতে দেখা যায় রাত পৌনে ন’টায়। প্রায় একটানা ৯ ঘন্টা ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সুশান্তের বান্ধবীকে।
ইডি সূত্রে খবর, গতকালের জেরায় রিয়া জানিয়েছেন, সুশান্তের থেকে কোনও টাকা নেননি তিনি। বরং নিজের রোজগার থেকেই সব টাকা মিটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে মোট চারটি স্টার্ট আপ কোম্পানি খুলেছিলেন রিয়া, তাঁর ভাই এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।
রিয়ার দুটি সম্পত্তি বিশেষ করে খার এলাকার একটি ফ্ল্যাটের উপর নজর ছিল ইডির। রিয়ার নামেই কেন হয়েছে এই ফ্ল্যাট। মডেল-অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ৬০ লক্ষ টাকার হাউস লোন নিয়েছিলেন তিনিম বাকি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিজের সঞ্চয় থেকে।
ইডি সূত্রে খবর, এই প্রসঙ্গে রিয়া জানিয়েছেন, একবছর ধরে লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন তিনি এবং সুশান্ত। একসঙ্গে বিদেশে বেড়াতে গিয়েছেন। কোম্পানি খুলেছেন। সর্বোপরি রিয়ার দাবি সম্পর্কে থাকা একটি কাপল-এর ক্ষেত্রে এটা অস্বাভাবিক নয়।
পাশাপাশি এদিন জেরার মুখে পড়তে হয় এই মামলার অপর দুই অভিযুক্ত রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, এবং অভিনেত্রীর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকে। এছাড়াও জেরা করা হয় রিয়ার চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহকে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন আওতায় এদিন এই চারজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।