আমানতকারীদের টাকায় কেনা চিটফান্ড কোম্পানির জমিতে নির্মাণকাজ করতে বাধা দিল স্থানীয় আমানতকারীরা। সূত্রের খবর আট বছর আগে বাজার থেকে টাকা তুলে একটি চিটফান্ড কোম্পানি ঘোকসাডাঙ্গায় জমি কেনে ।কিন্তু কয়েকবছর আগে সারদা কেলেঙ্কারির সময় সেই কোম্পানিও আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়। সেই কোম্পানীর প্রায় সাড়ে চৌদ্দ বিঘা জমি পরে থাকে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের চ্যাংড়া বান্ধা চৌরঙ্গী মোড় এলাকায়। ওই কোম্পানীর অধীন তিন জন ব্যক্তির নামে সেই জমির দলিল তৈরি হয়। পরবর্তীতে কোম্পানী তল্পী তলপা গুটিয়ে পালিয়ে যায়।
যাদের নামে সেই জমির দলিল পত্র তৈরি হয় তারা সেই জমি অন্য আর এক জনের কাছে বিক্রি করে। খবর চাউর হতেই এলাকার আমানত কারীরা জমাকৃত টাকা ফিরিয়ে নিতে আসেন। সেই সময় জমির মালিক পক্ষ আমানত কারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর পর আমানত কারীরা এবং মালিক পক্ষ উভয়ে বসে একটি কমিটি গঠন করে। এবং তাদের যে জমাকৃত টাকার ৩৮ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এই মর্মে সকল আমানতকারী এবং মালিক দুপক্ষ একটি রেজুলেশন তৈরি করে।সেখানে কথা হয় জমির মালিক আমানতকারীদের ধাপে ধাপে সকলের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু ইদানিং টাকা দিতে গড়িমসি করছে মালিক পক্ষ। এমনই অভিযোগ করেন আমানত কারী বিষ্ট কান্ত অধিকারী, শতদল বর্মন, ভজন বর্মন সহ অন্যান্যরা। সেই জমিতে ওয়াল তৈরির যে কাজ চলছিল তা তারা বন্ধ করে দেন।
ওনাদের সাফ কথা আগে তাদের প্রদেয় অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হোক তার পর জমিতে কাজ করুক। অন্যদিকে আমানত কারীদের পক্ষে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটির সদস্য সুকুমার বর্মন বলেন, যে টাকা গ্রাহকরা পাবে তা পুরোটা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা সকলের সম্মতিক্রমে একটি কমিটি করি এবং সেই কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয় জমাকৃত অর্থের ৩৮ শতাংশ টাকা মালিক পক্ষ দেবেন। তা মঞ্জুর করে মালিক পক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করেছেন এবং জানুয়ারী ৩১ তারিখের মধ্যে ধাপে ধাপে স্থানীয় সকলের টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে কথা হয়। ইতিমধ্যে অনেককে টাকা ফেরত দেওয়াও হয়েছে।অন্যদিকে জমির মালিক সুদীপ পাল বলেন, আমরা কমিটির সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি এবং ধাপে ধাপে আমানত কারীদের নির্ধারিত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে.(গণেশ বর্মন)