আবারো বন্ধের ডাক গেরুয়া শিবিরের

ফের একবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি রাজ্যে। হাঁসখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে এমনিতেই অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের। কারণে তাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে জড়িতে বলে অভিযোগ। এতে আবার রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে। সব মিলিয়ে বিরাট চাপানউতোর রাজ্য জুড়ে। এই আবহে জানা গেল, হাঁসখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। একই সঙ্গে নির্যাতিতার বাড়িতে যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল বলে খবর।

হাঁসখালিতে যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার ধর্ষণের জেরে তীব্র রক্তপাত হয়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা৷ এরপরই অভিযোগ তোলা হয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য পরিবারকে হুমকি দেখিয়ে নাবালিকার শব দাহ করে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র বা ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই এই কাজ কী ভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই ইস্যু নিয়েই জোরদার আওয়াজ তুলেছে বিজেপি বাহিনী। হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারাও। পথ অবরোধ করে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।

যেহেতু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তবে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে। কী ভাবে মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হল তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে, ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া যদি মৃতদেহ সৎকার হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। এক্ষেত্রে দোষের ভাগীদার তাদেরই হতে হবে। কারণ ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া মৃতদেহ সৎকার না হলে বিষয়টি দ্রুত ধামাচাপা দেওয়া যেত না।