আজ ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে! অজান্তে ভুল ইমোজি পাঠাচ্ছেন না তো?

অফ টাইম হোক অথবা কাজের ব্যস্ততা, পকেট থেকে ক্ষণিকের জন্য মোবাইল বার করে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ ঘেটে নেওয়া যেন এক অভ্যাস। টাইপিং করতে করতে ঝট করে বেরিয়ে আসে একটি মুখ , কখনো তার মুখে হাসি অথবা কখনো তার চোখে কুল গগলস্। চলতি কথায় আমরা একে ইমোজি বলে থাকি। ১৯৯৭ সালে ইমোজির আবিষ্কার করে জাপান। মোবাইল কমিউনিকেশন কে আরো ঝকঝকে করে তোলে এই ইমোজি। মনের ভাব কে ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করার জনপ্রিয় মাধ্যম এই ইমোজি।
সময় এগোচ্ছে, বদলে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। ফিচার ফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন। এসএমএস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ,ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। বাড়তে থাকল ইমোজির ব্যবহার।  এন্ট্রি নিল একের পর এক মুখ, ইমোশন ও তার নানা ব্যবহার।
আজ ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে তে আমরা জেনে নেব কিছু ইমোজির মানে

হাই ফাইভ- প্রথমেই ভুল! জাপানিরা ভেবেছিলেন এক, আর ভারতে এসে রূপ নিল আরেক, এই হাই ফাইভ ইমোজি। কোনও কাজে কেল্লাফতে, পার্টনারের হাতে হাত মিলিয়ে ঝটপট দে তালি। এটাই ছিল হাই ফাইভ ইমোজির মানে। কিন্তু মজার বিষয় , ভারতে এসে এই ইমোজি হয়ে গেল নমস্কার!

এঞ্জেল ফেস- মাথার উপর নীল রঙের বলয়। তার নিচে মিষ্টি হাসিমুখ। ইমোজির দুনিয়ায় এর নাম অ্যাঞ্জেল ফেস। ইমোজি দেখলে মনে হবে ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানে না। আসলে কিন্তু মহাবিচ্ছু এই  ইমোজি। এটি মূলত ব্যবহার হয়, সবজান্তা হয়েও, দেখুন আমি কতটা মাটির মানুষ বোঝাতেই।

ড্রাঙ্কেন ফেস- ইমোজির জগতে ইনি হলেন ‘ড্রাঙ্কেন ফেস’ যাকে ‘জেনি ফেস’ নামেও ডাকা হয়। তবে এটি বেশি জনপ্রিয় ‘ড্রাঙ্কেন ফেস’ নামেই। নামে ড্রাঙ্কেন হলেও, এই ইমোজি কিন্তু একেবারে মদ্যপ হওয়ার পক্ষপাতী নয়। বরং এই নেশা হতে পারে যেকোনও রকম। এটি মূলত, কোনও বিষয়ে বা কাউকে নিয়ে সারাদিন মত্ত থাকা বোঝাতেই ব্যবহার হয়।

ডেভিলস ইমোজি – বেগুনি রং তার উপর মাথায় শিং। একজনের মুখে শয়তানের হাসি, আর আরেক জনের রাগী মুখ। ইমোজির দুনিয়ায় এর নাম ডেভিলস ফেস। মানুষের পিছনে লাগতে দারুণ ওস্তাদ এই দুই ইমোজি। তবে দু’জনের স্টাইলটা আলাদা। একজন পিছনে লেগেও আপনার মুখের উপর হেসে উঠবে। অন্যজন নেবে প্রতিশোধ! মস্করা করে কারও পিছনে লাগতে কিংবা হাটে হাঁড়ি ভাঙার পর এই ইমোজি ব্যবহার করাই যায়।

এক্সপ্রেশনলেস ফেস – কোনও কিছুতেই নেই তাপ উত্তাপ! একেবারেই হতাশ। কেউ কিছু লিখল, আপনি বুঝলেন না, তাকে সেটা জানাতে সেও বুঝল না। গোটা ব্যাপারটাই কেমন ঘেটে গেল। ঠিক এমন অবস্থাতেই এই ইমোজির ব্যবহার।

বর্তমান সময়ে আপনার ইমোজিই আপনার পরিচয়। তাই এবার থেকে একটু দেখে শুনে ব্যবহার করুন ইমোজি। না হলে অজান্তেই বিপাকে পড়বেন ৷