শনিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, আতঙ্কের দিন কেটে গিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ব্যাঙ্কিং এবং বাণিজ্যিক লেনদেন। ব্যাঙ্কগুলি থেকে পাওয়া রিপোর্টেই এই প্রবণতা স্পষ্ট।
গত কয়েকদিন ধরে অর্থনীতি ক্রমেই স্বাভাবিকতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে এদিন আশা জাগিয়েছেন আরবিআই গভর্নর। শক্তিকান্ত দাস স্পষ্টই জানিয়েছেন, সামগ্রিক বৃদ্ধি এবং অর্থনীতির স্বাস্থ্য কেমন হবে, সেটা এখনও কিছুটা অনিশ্চিত। কিন্তু শিল্পবাণিজ্য এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের সক্রিয়তায় ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এম মূল কারণ অবশ্য লকডাউন শিথিল হওয়া। সেকথা অস্বীকার করেননি তিনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর আরও বলেছেন, লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার পর থেকেই অর্থনীতির স্তব্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই। বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়েছে। দায়হীন ঋণ গ্রহণের সংখ্যা বাড়ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের হার কমছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেছেন, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং আমানত বৃদ্ধির উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে এবার থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের সরকারি, বেসরকারি ব্যাঙ্ক, নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলির পরিচালনা তথা প্রশাসনিক বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এর প্রধান উপকরণ হবে মার্কেটিং ইন্টেলিজেন্স এবং অফসাইট মনিটরিং। কোন ব্যাঙ্ক কোন সংস্থাকে লোন দিচ্ছে এবং কোন কোন সংস্থার সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক কেমন, তার উপর নিয়ম করে নজরদারি চালানো হবে। ওই সংস্থার বাণিজ্যিক লেনদেনে কড়া নজর রাখবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, কন্টেইনমেন্ট পর্ব শেষ হওয়ার পর, আবার ব্যাঙ্কগুলিকে প্রদান করা বিভিন্ন ছাড় ও নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হবে। অর্থাৎ ওটাই স্বাভাকিতার লক্ষণ। তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত সাড়ে ৯ লক্ষ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে। তার সুফল মিলতে শুরু করেছে।