অমরত্ব

শহরের সর্বোচ্চ উষ্ণতম দুপুরে,
কালচে রাস্তা দিয়ে যখন উষ্ণ ধোঁয়া সবচেয়ে উঁচু বাড়ির দেরাজ বা মরচে পড়া লোহার জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে,
ঠিক সেই দিনই তাদের প্রথম আলাপ,
প্রথম দেখা,প্রথম কথা।
সময় বয়ে গেল,
উষ্ণতম দুপুর একসময়
প্ল্যেস্টোসিন যুগের মতো শীতল,
…নিথর একটা দিনে পরিনত হয়ে গেল,
তখনও তাদের অবস্থান বিরাজমান।

কথা বাড়লো, চেনা বাড়লো, তারা সাক্ষী থাকলো কোনো এক রোদেলা দুপুর অথবা কোনো এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যার। 

কখনো  পাহাড়ের সাথে মিশে কখনো
বা  সমুদ্রের জলে গা ভাসিয়ে
তারা কাটিয়ে দিলো এক একটা যুগ,
পাথরের গায়ে খোদাই করা তাদের অমরত্ব

  সে লিখন আর কে ই বা খন্ডাবে?