অভিনয়ে আসার আগে জুতোর বেচতেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি

অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মির্জাপুর সিজন টু রমরমিয়ে চলছে অনলাইনে। জানা গিয়েছে এই ছবি এটি পরিমানে দর্শক পছন্দ করছেন যে আমাজন প্লাটফর্ম ক্রাশ হয়েছে।চূড়ান্ত জনপ্রিয় এই শোয়ের দ্বিতীয় পর্বের কেন্দ্রবিন্দুতে কালিম ভাই, পঙ্কজ ত্রিপাঠী। এই মুহূর্তে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ট্রাম্প কার্ড। বর্তমানে অভিনয়ের জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বিহারের গ্রামের ছেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ততাঁর এই সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির প্রমোশনে এসে সাংবাদিকদের সামনে নিজের জীবন সম্পর্কে নানা তথ্য অকপটে জানালেন। বহু দিন স্ট্রাগল করেছেন মুম্বইয়ের মাটিতে। “তখনও সেভাবে কাজ আসছিল না হাতে। আমি ডুবে থাকতাম ম্যাক্সিম গোর্কি ও আনেন চেকভের রচনায়। এখনও নীরবে সেই অনুশীলন করে যাই। প্রত্যেকটা চরিত্র তাঁরা কীভাবে কলমের জোরে রক্তমাংসের করে তুলেছেন। পড়তে পড়তেই তাদের মতো হয়ে যাই। আসলে কী জানেন, ভাল অভিনেতার কোনও রুলবুক নেই। জাত অভিনেতা যা দেখে, পড়ে ও শোনে, তা থেকেই নিজের অস্ত্র তৈরি করে। “

জীবন তৈরি হয় প্রত্যেকটা হার, প্রত্যেকটা নিষ্ফলা দিয়ে । সাফল্য মানুষকে গড়ে না। ব্যর্থতা গড়ে। এমনটাই বিশ্বাস করেন পঙ্কজ। অভিনয়ে আসার আগে জুতোর ব্যবসা করতেন। কলকাতা থেকে পটনায় জুতো কিনে নিয়ে যেতেন তিনি। অর্ডার সাপ্লাইয়ের কাজ। প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হত। এখন মনে পড়ে সেসব দিনের কথা? “নিশ্চয়ই। মনে পড়বে না। জীবন চেনার শুরু তো সেখান থেকেই। সাতাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছিলাম। পুরোটাই লস হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের সাপোর্ট পুরোটাই ছিল। আমার বাবা মা এখনও গ্রামেই থাকেন। তাঁরা মুম্বইয়ে পাকাপাকি আসতে চাননি। গ্রাম এখনও আমার আপন। প্রতি শুটিংয়ের থেকে ছুটি পেলেই গাড়ি চালিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাই। ” বললেন তিনি।