“অ্যাভেঞ্জার্সের মতো ছবি কি কেউ মোবাইল বা ছোটপর্দায় দেখতে চাইবেন? আসলে ছোটপর্দায় মুক্তি পাওয়া ছবিকে মূলত গল্প-কেন্দ্রিক হতে হবে, ‘বিগ ক্যানভাস’ ছবির জন্য বড়পর্দার বিকল্প নেই।”
বলিউডের তারকাখচিত ছবি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ‘সাফল্য’ কতটা আসবে, তা নিয়ে সংশয়ী সমালোচকেরা। বাঙালী পরিচালক সুজিত সরকারের ছবি ‘গুলাবো সিতাবো’ সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ করেছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন এবং আয়ুষ্মান খুরানা। আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ বিগবির নতুন ছবি অনলাইনে রিলিজ করায় জল্পনা শুরু হয়েছে, আগামীতে কি তাহলে বলিউডে ওটিটি প্ল্যাটফর্মই ভবিষ্যত? সিনেমাহলে ছবিমুক্তির সুদীর্ঘ ঐতিহ্য কি ক্রমশ গুরুত্ব হারাবে? পাশাপাশ প্রশ্ন উঠছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কি আদৌ সিনেমাহলের পরিপূরক হতে পারে? সমালোচকদের অধিকাংশের অবশ্য বক্তব্য, তা কখনই সম্ভব নয়।
ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্ট গিরীশ জোহরের কথায়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং লকডাউনের ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় গুলাবো সিতারোর অনলাইন রিলিজ দেখে অন্য প্রোডিউসারেরা উৎসাহী হতেই পারেন। কিন্তু সেটা কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই। যদি প্রযোজকেরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেন, তাহলে হয়তো হলেই রিলিজ করতে পারতেন। কারণ সিনেমাহলে রিলিজের সঙ্গে অন্য কোনও কিছুই তুলনীয় নয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মানুষ সিনেমা হলে যেতেই পছন্দ করেন।”
গিরীশের দাবি, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়তো ভালই রেভিনিউ দেবে, কিন্তু সিনেমা হলের গুরুত্ব কোনওমতেই কমবে না। এর আগেও ভিসিআর, ডিভিডি, টিভি এসেছে। কিন্তু তাতে বড়পর্দার আকর্ষণ ম্লান হয়নি। তাঁর যুক্তি, “অ্যাভেঞ্জার্সের মতো ছবি কি কেউ মোবাইল বা ছোটপর্দায় দেখতে চাইবেন? আসলে ছোটপর্দায় মুক্তি পাওয়া ছবিকে মূলত গল্প-কেন্দ্রিক হতে হবে, ‘বিগ ক্যানভাস’ ছবির জন্য বড়পর্দার বিকল্প নেই।” তাছাড়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোনও ছবি সফল না ব্যর্থ তা মাপার কোনও বড় ফ্রেমওয়ার্ক নেই। নিঃসন্দেহে সমালোচকেরা রিভিউ করবেন, কিন্তু টিকিট কেট হলে আসা দর্শকের হাতে-গরম প্রতিক্রিয়াই তো মিলবে না!
গিরীশের সঙ্গে সহমত পরিচালক সুজিত। তাঁর কথায়, “সিনেমাহলের একটা নিজস্ব ম্যাজিক রয়েছে। তার সঙ্গে অন্য কোনওকিছুর তুলনা হয় না।”