দলীয় কর্মসূচিতে কোচবিহারে পৌঁছে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পিসি-ভাইপোর কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিজেপি যুব মোর্চা। এরই প্রস্তুতিতে এদিন দলীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের কর্পোরেট এবং অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে কামান দাগেন সৌমিত্র।
তাঁর অভিযোগ , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলেদের কাছ থেকে চাকরি দেবো বলে টাকা তুলেছেন এলাকায় এলাকায় এবং তার সঙ্গী ছিলেন বিনয় মিশ্র। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলুন আমার বিরুদ্ধে কেস করতে। আমি রাস্তায় বুঝে নেব। মঙ্গলবার কোচবিহার শহরে প্রাতঃভ্রমণ করে চা চক্রে যোগ দিয়ে এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
আগামী দিন এদিন তিনি আরও বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পিসি এবং তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুজন দাঁড়িয়ে থাকবেন। বাদবাকি সবাই চেষ্টা করবে যে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে কিভাবে বাঁচা যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের এখন মালিক পিকে এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের কোনো রাজনৈতিক সারবত্তা নেই, যারা রাজনীতি সম্পর্কে কিছু বোঝেন না। শুধু ব্যবসা সম্বন্ধে বোঝেন।
সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, কোচবিহারের মত সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির শহরে যে ধরনের ভাষা ব্যবহার তিনি করেছেন, তা নিন্দনীয়। দ্রুত কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার করা হবে। সৌমিত্র খাঁর বোঝা উচিত তার সৃষ্টি কোথা থেকে, এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি সংসদ হয়েছিলেন। সৌমিত্র খাঁ ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছে তারা বলে এদিন জানান তিনি। অভিজিত বাবু আরো বলেন, তারা চাইলে সৌমিত্র খাঁর এই প্রাতঃভ্রমণ গুটিয়ে দিতে পারেন । হিংসার পরিবেশ তৈরি করার জন্যই তারা এসেছে কোচবিহারে। প্রত্যেকটি তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সংযত হোন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবেই এর মোকাবিলা করবে।তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক এর ঘোষণা অনুযায়ী এদিন দুপুরে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় সৌমিত্র কার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্যরা।