নিজস্ব সংবাদদাতা :বলিউডের ছবিকে হার মানাবে? বিদেশে যাওয়ার জন্য নিজের পিসেমশাইয়ের বাড়িতে ডাকাতি করলেন ভাইঝি। ঘটনাটি ঘটে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড পার্কে । এক চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত সহ তিন জন ধরা পড়ল। উদ্ধার হল মাথায় কোপ বসানো বঁটিটিও। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক অরূপকুমার দাসের স্ত্রীয়ের ভাইঝি ঐন্দ্রিলা রায়, বয়স ৩৪ বছর, পবিত্র দেবনাথ ও রূপম সমাদ্দার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ঐন্দ্রিলা বিদেশে পাকাপাকি ভাবে যাওয়ার জন্য, তার পিসেমশাই চিকিৎসক অরূপকুমার দাসের কাছ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা চান। সেই সময়ে তিনি ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন অরূপবাবু। যারপরই ঐন্দ্রিলা এই ডাকাতির ছক করেন। পুলিশের দাবি ঐন্দ্রিলা প্রথমিক জেরায় জানিয়েছে, সে জানত তার পিসেমশাইয়ের ঘরে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা রয়েছে। আর সেই অনুসারেই সে রূপম সমাদ্দার ও প্রবীত্র দেবনাথকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতি ও একইসঙ্গে সম্পূর্ণ পরিবারকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার ছক কষেন।
পুলিশ এদিন জানিয়েছে, ঘটনার দিন তিন জন প্রথমে টালিগঞ্জে জমা হয়। তারপর সেখান থেকে ঐন্দ্রিলা ও পবিত্র চিকিৎসক অরূপকুমার দাসের বাড়ি যায়। রূপম তাদের অস্ত্রদিয়ে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে ছিল বলে দাবি। সেখানে যাওয়ার আগে তারা জানত না যে চিকিৎসক অর্থাৎ তার পিসেমশাই বাড়ি নেই। বাড়িতে গিয়ে প্রথমে দরজার বেল বাজায়। সেই সময়ে পরিচারিকা যেহেতু ঐন্দ্রিলাকে আগে থেকেই চিনত, তাই সে তাকে দরজা খুলে দেয়। ঘরে ঢুকে ঐন্দ্রিলা দেখে চিকিৎসকে মেয়ে শাল্মলী বাথরুমে স্নান করছে। তখন সে পরিচারিকাকে প্রথমে এক গ্লাস জল আনতে বলে।
এরপর পরিচারিকা রান্নাঘর থেকে জল নিয়ে আসার সময়ে হঠাৎই তার মাথায় হাতুরির ঘা বসায় ঐন্দ্রিলা। পরিচারিকার চিৎকারে চিকিৎসকের মেয়ে স্নানঘর থেকে বাইরে আসতেই তার ওপর হামলা চালায় ঐন্দ্রিলা ও তার সঙ্গী। একটি ধারালোবঁটি দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। সেই সময়ে আহত অবস্থায় ভয়ে সে আলমারির চাবি দিয়ে দেয়। তারপরই তারা আলমারি থেকে নগদ লক্ষ্যাধিক টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশকে জেরায় ঐন্দ্রিলা জানিয়েছে, তার লক্ষ্যছিল তাদের দুজনকেই প্রাণে মেরে ফেলার। কিন্তু বাড়িতে অতিরিক্ত চিৎকার হওয়াতেই তারা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।