সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিষ্ফোরণ কান্ডে তদন্তে আসল ফরেনসিক দল। ফরেন্সিক দলের তদন্তের সময়ে হঠাৎ মৃদু বিস্ফোরণে ফের কেঁপে উঠল ওই এলাকা। কিছুক্ষনের জন্য ধোঁয়ায় ভরে যায় ওই এলাকা। যদিও ভয়ঙ্কর কিছু দুর্ঘটনা ঘটেনি এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ দল।
শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্কুলপাড়া এলাকায় প্লাস্টিকের কারখানার বিস্ফোরণস্থলে তদন্তে আসেন রাজ্যের দুই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তাদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার , ডিএসপি শুভতোষ সরকার , কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস সহ অন্যান্য পদস্থ কর্তারা। ফরেনসিক দলের দুই বিশেষজ্ঞ মধ্যে ছিলেন ড. চিত্রাক্ষ সরকার এবং আকাশ দাস। এদিন ফরেনসিক দলের দুই বিশেষজ্ঞ তদন্ত চলাকালীন প্লাস্টিকের কারখানায় হঠাৎ করেই মৃদু বিস্ফোরণ এবং ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা চত্বর ।এমনকি ধোঁয়ায় আঁচে পিপিকিইট খুলতে বাধ্য হন একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. চিত্রাক্ষ সরকার। এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
যদিও ফরেনসিক কর্তাদের দাবি, কোন বিস্ফোরণ ঘটে নি । কেমিক্যাল দিয়ে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার সময় ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছিল । পাশাপাশি বিস্ফোরণস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ স্কুলপাড়া এলাকায় আচমকাই প্লাস্টিকের কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ছয়জনের । জখম হন পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ১০ জন । তাদের এখনও চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সুজাপুরে এসে মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । এরপরই শুক্রবার রাতে মালদায় আসে ফরেনসিক দলের দুই বিশেষজ্ঞ । রাতেই তারা প্লাস্টিকের কারখানার বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন। এরপর পুনরায় শনিবার দুপুরে ফরেনসিক দলের দুইজন বিশেষজ্ঞ ওই প্লাস্টিকের কারখানার বিস্ফোরণস্থল খুঁটিনাটি তদন্ত করে দেখেন। বেশকিছু যন্ত্রাংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।