কোনও গুলি চলেনি। কিন্তু তাও গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শহিদ হলেন অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা। আহত বহু। চিনা সেনাবাহিনীরও অনেক সদস্য হতাহত হয়েছেন, যার সংখ্যাটা অন্তত ৪৩। শুধু রড, পেরেক লাগানো লাঠি, কাঁটা লাগানো বালা (চিনা সেনাদের) পাথর ও বেয়োনেট দিয়েই চলেছে ভারতীয় ও চিনা সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ। সোমবার রাতে এ ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আকসাই চিনের কাছে লাদাখের এই অঞ্চল। আর ভারতের বীর শহিদদের মধ্যে রয়েছেন বাংলারও দুই সন্তান। তাঁরা হলেন বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ভূতুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগাড়িযা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ ওঁরাও ও আলিপুরদুয়ারের দুই নম্বর ব্লকের বিন্দিপাড়ার বাসিন্দা বিপুল রায়।
বাংলার দুই বীরদের এই আত্মত্যাগের কোনও ক্ষতিপূরণ হয়ত হয় না, তবু শহিদদের পরিবারের কিছুটা যাতে সহায়তা হয়, সেই কারণেই শহিদদের পরিবারের জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের যে কোনও একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘গলওয়ান ভ্যালিতে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, সেই সাহসি সন্তানদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি সেই শহিদদের মধ্যে আমাদের বাংলারও দুই সন্তান রয়েছে।’ সেইসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘যে আত্মত্যাগ তাঁরা করেছেন, তার কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। আমরা শুধু আমাদের মাটির দুই সন্তানের পরিবারের কঠিন সময়ে একটু পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রতি পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির ঘোষণা করা হল তাই।’