রাস্তার দাবিতে ফের আন্দোলনে নামলেন জলপাইগুড়ি শহরের ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

রাস্তার দাবিতে ফের আন্দোলনে নামলেন জলপাইগুড়ি শহরের ৪ নম্বর গুমটি সংলগ্ন নিউটাউনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বিধান‌সভা নির্বাচনে‌র আগে তারা শ্লোগান তুললেন ‘নো রোড নো ভোট’।

অভিযোগ, ভোটের আগে এসে সকলেই রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান। তারপর আর কারও দেখা মেলেনা। স্থানীয় বাসিন্দা‌রা বলেন, আমাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তা দিয়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢুকতে পারে না। স্থানীয় কাউন্সিলারকে বিষয়টি বারবার বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত পাকা রাস্তার মুখ দেখতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দা‌রা। এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন হয়তো বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় পাকা রাস্তা দেখতে পাবেন। যদিও তা আর হয়নি। এর প্রতিবাদে বাধ্য হয়ে এবার ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জলপাইগুড়ি শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটাউন পাড়া এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে‌ই এলাকায় ব‍্যানার লাগিয়ে প্রচার শুরু করেছে‌ন নো রোড নো ভোট। এলাকার মানুষ‌দে অভিযোগ, রাস্তা তৈরি করার জন্য বোর্ড লাগানো হলেও আজ‌ও রাস্তা করা হয়নি। অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালার অবস্থা‌ও অত্যন্ত বেহাল। পুর পরিসেবা বলতে কিছুই নেই এখানে। এজন্য তারা এবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা‌রা বলেন, তারা জানতে পেরেছিলেন নতুন রাস্তা তৈরির জন্য সাংসদ কোটা থেকে ৯ লক্ষ টাকার‌ও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে সেই টাকা গেল কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলে।
এলাকায় ২০০ মিটারের একটি রাস্তা তৈরি হলে উপকৃত হবেন মুচিপাড়া, পাটগোলা, ৪ নম্বর গুমটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বিজয়চন্দ্র বর্মন জলপাইগুড়ির সাংসদ
থাকাকালীন সময়ে রেল লাইনের পাশে নিকাশি নালা ও রাস্তা তৈরির জন্য সাংসদ ফান্ড থেকে ৯ লক্ষ ২১ হাজার ৩৩২ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
এই কাজের জন্য তিন বছর আগে দুই জায়গায় বোর্ড পর্যন্ত লাগানো হয়েছিল। যদিও নালার পাশে কয়েকটি কংক্রিটের পিলার বসানো ছাড়া আর কোনও কাজ করা হয়নি। জানা গেছে
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় প্রায় ২০০০ বাসিন্দা রয়েছেন। এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজশ্রী মাহাত বলেন, শুধুমাত্র রাস্তা না থাকায় এই এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বর্ষার সময় বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করা খুবই সমস্যা। বর্ষায় নিকাশি নালার সমস্ত নোংরা জল ঘরে ঢুকে পরে ঘরে। পুরসভার ন‍্যূনতম পরিসেবাও তারা পান না বলে অভিযোগ।

বাইট:– প্রতিমা দাস।( স্থানীয় বাসিন্দা )

বাইট:– রাজশ্রী মাহাতো। ( স্থানীয় বাসিন্দা )

বাইট:– প্রদীপ দাস। ( স্থানীয় বাসিন্দা )