আগাম দুপক্ষেরই প্রস্তুতি , টানটান উত্তেজনা, সাসপেন্স এবং খেলা শুরুর মুহূর্তের প্রতীক্ষা,- যেকোনো ক্রিকেটীয় বা ফুটবলের প্লট নয়। এই প্লট বিজেপি যুবমোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানের দৃশ্য ও তাঁর প্রেক্ষাপট। আগাম নির্ঘন্ট মেনে এদিন উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার লেগে যায় বিজেপি কর্মী এবং পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে। সকাল এগারোটা নাগাদ মোর্চার পক্ষ থেকে উত্তরকন্যা অভিযান শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয় বেলা একটা নাগাদ।এদিনের উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, তরুণ সাংসদ তেজস্বী সূর্য, নিশীথ প্রামানিক, রাজুবিস্ট , জয়ন্ত রায় , সহ প্রতিটি জেলার নেতা কর্মীরা।
এদিন মিছিল আটকাতে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সকাল থেকেই উত্তরের বিভিন্ন জেলার কর্মীদের আটকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়। ব্যারিকেড বাঁধা হয় জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায়। বাগডোগরা, নৌকাঘাট, ফুলবাড়ি উত্তরকন্যা ঢোকার রাস্তা গুলিতে ব্যারিকেড বেঁধে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সচিবালয়ের অনতিদূরে তিনবাত্তি তে তিনতিনটি পোক্ত ব্যারিকেড বানানো হয় । জানা গেছে মিছিলকে রুখতে কাঠ, বাঁশ এমনকি লোহার পাইপ, ঢালাই লোহার খুঁটি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গে কোনো অভিযানকে ঘিরে আজ পর্যন্ত এমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তিনবাত্তি আসতেই পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, মাঠ ,পুলিশ বাহিনী, জলের কামান প্রস্তুত রাখে। মিছিল তিনবাত্তি আসতেই শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে।ধুন্ধুমার বাঁধে । কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দফায় দফায় জলের কামান দাগে, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাস। পুলিশের অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা ঢিল ছোড়া শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, এবং ওয়াটার ক্যানন শুরু করে। এদিনের উত্তরকন্যা অভিযান কে কেন্দ্র করে দফায় দফায় খন্ডযুদ্ধ বাঁধল পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে। এই খন্ডযুদ্ধে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীনেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।