মালদা , ২০ মার্চ । প্রসবের পর বলা হয়েছিল পুত্র সন্তানের কথা । কিন্তু দেওয়া হয় নাকি কন্যা সন্তান। আর এনিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে শিশু দলের অভিযোগ তুলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে মেডিকেল কলেজের মাতৃমা বিভাগের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান ওই রোগীর পরিবারের লোকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্প থেকে কর্তব্যরত অফিসারদের ঘটনাস্থলে আসতে হয়। পরে মাতৃমা বিভাগে তদন্তে আসেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার পুণ্যজয় সাহা । তাঁর আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার পুণ্যজয় সাহা ।
মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার জালালপুরের বাসিন্দা রবি চৌধুরীর স্ত্রী চুমকি চৌধুরী শুক্রবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিন রাতে তার পুত্র সন্তান হয় বলে দাবি করেন চুমকীদেবি। এটি তাদের প্রথম সন্তান বলেও জানান। ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, মা ও শিশু সুরক্ষা কার্ডে লেখা রয়েছে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা। এরপর রাতে পরিবারের লোকেদের জানানো হয় তাদের শিশু কন্যা হয়েছে। এরপর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ ডাক্তার পূর্ণজয় সাহা। এই ঘটনার পর থেকেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিশুর পরিবারের লোকেরা।
ওই গৃহবধূর স্বামী রবি চৌধুরী বলেন, প্রথমে আমাদের পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি কাগজে পুত্র সন্তান হয়েছে লেখা হয়েছে।মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাললে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কি ভাবে বাচ্চা বদল হয় তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে আমাদের পুত্র সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ ডাক্তার পূর্ণ্যজয় সাহা জানিয়েছেন, আপাতত ওই শিশুটিকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় কলকাতা থেকে বিশেষ টিম এসে পরীক্ষা করে তারপরে শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।