মান ভাঙাতে মিহিরের বাড়ি গেলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

মান ভাঙাতে অভিমানী নেতা মিহির গোস্বামীর বাড়ি গেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহার তৃনমূল কংগ্রেসের এই বিক্ষুব্ধ নেতা তথা বিধায়ক গত কয়েকদিন ধরেই দলের বিরূদ্ধে তোপ দেগে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। কখনো সামাজিক মাধ্যমের মারফত , কখনো বা সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। এবার মিহিরের মান ভাঙাতে আসরে নামলেন খোদ রবি ঘোষ। দীর্ঘ আঠারো বছর পর পরস্পর বিরোধী সম্পর্ক ভুলে বিক্ষুব্ধ বিধায়কের বাড়ি গিয়ে দেখা করলেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে মিহির ঘোষ স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হন বন্ধু তথা রাজনৈতিক সহযোদ্ধা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস এর রাজ্য নেতৃত্ব দেন ব্যবহার সম্পর্কে মুখ খুলেছেন মিহির বাবু। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ করে যাচ্ছেন তিনি। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের উত্তরবঙ্গের প্রতি উদাসীনতা, ক্রমাগত দলীয় নেতৃত্ব দের মধ্যে গোষ্ঠী তৈরি করে কোন দল সৃষ্টি করা, এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এদিন এই সমস্ত বিষয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে পুনরায় দলের প্রতি ঘুরিয়ে আনতেই কি গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ? দলে কি ফিরছেন বিধায়ক?

সোমবার বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর আজ সকাল সকাল ফের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে ছুটলেন তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ। এদিন দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। তবে সরাসরি না বললেও তিনি যে দলে ফিরছেন না তা মিহির বাবু’র কথাতেই পরিষ্কার। তিনি বলেন, “দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই আমি অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করছি।” তবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে অন্য কোন দলের হয়ে কিংবা নির্দল হয়েও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে তাঁকে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।