মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু করবে বিশ্বখ্যাত Johnson & Johnson

ওয়াশিংটন: এবার করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সামিল জনসন অ্যান্ড জনসন৷ মানব শরীরের করোনার ভ্যাকসিনের টেস্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে এই খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা৷ জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে কাজ শুরু করতে চলেছে তারা৷

ইতিমধ্যেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের৷ ২০২১-এর মধ্যে প্রায় ১০০কোটি ডোজের ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে এমন ভাবেই কাজ করবে সংস্থা৷

বিশ্বজুড়ে ৪ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস৷ কী ভাবে করোনার থেকে মুক্তি, এখনও জানে না কেউ৷ চেষ্টা শুরু হলেও, এখনও কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি যা মোকাবিলা করতে পারে এই মারণ ভাইরাসের ৷ তাই সেভাবে কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই এই রোগের৷ একে মারাত্মক ছোঁয়াচে, তার ওপর কোনও ওষুধ না থাকায় আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যু৷ যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷

১০৪৫ মানুষের ওপর প্রাথমিক ভাবে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করবে জনসন অ্যান্ড জনসন৷ এর মধ্যে যেমন থাকবেন ১৮ থেকে ৫৫ বয়সী অনেকে, তেমনই ৬৫বছর বা তার উর্দ্ধে থাকা অনেকের ওপর হবে পরীক্ষা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেলজিয়ামে হবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল৷

অন্য মার্কিন সংস্থা, ইউ এস বায়োটেক মোডরনা (US biotech Moderna), ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকটা দূর এগিয়েছে৷ ভ্যাকসিন পরীক্ষায় আপাতত মধ্য স্তরে রয়েছেন তারা৷ যা ৬০০জনকে নিয়ে করা হবে৷ জুলাই মাসে হবে শেষ ধাপের পরীক্ষা৷

অ্যাস্ট্রা জেনেকা (AstraZeneca),স্যানোফি (Sanofi), পিফিজার (Pfizer), গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লিনের(GlaxoSmithKline) মত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থারও শুরু জোড় কদমে চালাচ্ছেন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ৷ এক একটি সংস্থা রয়েছে এক এক স্তরে৷

ইতিমধ্যেই প্রায় মানব দেহে ১০টি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে এই ফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে৷