রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচার কাণ্ডে আরও চাপে পড়লেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। বক্তব্য ছিল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচারে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু সিবিআই এখন পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য দিতেই পারছে না যাতে প্রমাণ করা যায় তিনি অভিযুক্ত।
একই সঙ্গে সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের বিরোধিতা কেন করছে তারা। রাজনৈতিক কারণ কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সেই সওয়াল-জবাবের পর অবশেষে সিবিআইয়ের পক্ষেই রায় গেল আদালতের। বলা হয়েছে, তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এখনই অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়া যায় না।
সিবিআই অবশ্য বরাবর দাবি করে এসেছে যে অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তিনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সিবিআই আদালতে স্পষ্ট দাবি করে যে, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ‘রাজনৈতিক দৈত্য’। রাজ্যের অবশ্য যুক্তি ছিল, দুবরাজপুরের ঘটনা ছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সিবিআই কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করছে। কিন্তু সেই দাবিতে আদতে কোনও লাভ হল না।